মিষ্টির দোকানে ফেনসিডিল!

ফরিদপুরে একটি মিষ্টির দোকান থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় ওই দোকান থেকে ফেনসিডিলের আরও ৩৩টি খালি বোতল জব্দ করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ফরিদপুর। ছবি: প্রথম আলো
ফরিদপুরে একটি মিষ্টির দোকান থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় ওই দোকান থেকে ফেনসিডিলের আরও ৩৩টি খালি বোতল জব্দ করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ফরিদপুর। ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে একটি মিষ্টির দোকান থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুখালী উপজেলার একটি মিষ্টির দোকানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দোকানের মালিককে আটক করেছে র‍্যাব। তবে একে হয়রানিমূলক বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীর আত্মীয়রা।

আটক ব্যক্তির নাম মো. আরিফ (৩৫)। তিনি মধুখালী পৌরসভার গোন্দারদিয়া মহল্লার বাসিন্দা। মধুখালী রেলগেট এলাকায় তাঁর মিষ্টির দোকান রয়েছে। দোকানের নাম বাগাট এ আর মিষ্টান্ন ভান্ডার।

র‌্যাব-৮-এর কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই দোকান থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ফেনসিডিলের আরও ৩৩টি খালি বোতল জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, জব্দ করা ফেনসিডিল মধুখালী থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে মধুখালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মিষ্টি ব্যবসায়ী মো. আরিফের খালাতো ভাই আনোয়ার হোসেন (৪০) প্রথম আলোকে বলেন, আরিফকে রাজনৈতিক কারণে ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। আরিফের এক ভাতিজার সঙ্গে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ের সম্পর্ক ছিল। ওই দুই তরুণ-তরুণী পালিয়ে গেলে তিন মাস আগে আরিফের মিষ্টির দোকান ভাঙচুর করা হয়।

আনোয়ার হোসেনের দাবি, জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই তরুণকে গত মঙ্গলবার বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর জের ধরে চক্রান্ত করে আরিফের দোকান থেকে ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।