গণতন্ত্র ও সংবিধান সমুন্নত রাখুন, সেনাবাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী

>
শেখ হাসিনা। প্রথম অালো ফাইল ছবি
শেখ হাসিনা। প্রথম অালো ফাইল ছবি
• দেশের উন্নয়নে ৯০ ভাগ কাজ নিজস্ব অর্থায়নে হচ্ছে
• বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান
• বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল

দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আধুনিক, উন্নত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সেনাবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার কাদিরাবাদ সেনানিবাসে ইঞ্জিনিয়ার্স সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইসিএসএমই) সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ষষ্ঠ কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের পবিত্র সংবিধান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। এ জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো অশুভ এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেন দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী কোর পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদউদ্দিন প্যারেডটি পরিচালনা করেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ইসিএসএমই প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক এবং কর্নেল কমান্ড্যান্ট এবং কমান্ড্যান্ট অব দ্য ইসিএসএমই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০১৮তে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর দৃঢ় পারিবারিক বন্ধনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমার দুই ভাই—শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। শেখ জামাল ১৯৭৫ সালে রয়েল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্টস থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে কমিশন লাভ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়।’ তিনি বলেন, ছোট ভাই রাসেলের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘এই নয় বছরে আর্থসামাজিক প্রতিটি খাতে আমরা যুগান্তকারী উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। মানুষ এখন উন্নয়নের সুফল উপভোগ করছে। দেশের অর্থনীতিকে আমরা শক্তিশালী করেছি। আমরা দেশের উন্নয়নের ৯০ ভাগ কাজই নিজস্ব অর্থায়নে করছি।’