পর্যটকবাহী জাহাজের জরিমানা

অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি পারিজাতকে আবারও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এবার করা হয়েছে এক লাখ টাকা। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর জরিমানা করা হয় ৪০ হাজার টাকা।

পারিজাত কর্তৃপক্ষকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমা।

প্রণয় চাকমা বলেন, এমভি পারিজাতের ধারণক্ষমতা ৪১০ জন। কিন্তু আজ অভিযানের সময় জাহাজটিতে অতিরিক্ত আরও ৫০০ জন যাত্রী ছিল। এ কারণে ওই জাহাজের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

অভিযানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের টেকনাফ নৌবন্দর পরিবহনের পরিদর্শক মোহাম্মদ হোসেন ও পর্যটন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এ নৌপথে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, গ্রিনলাইন-১, এলসিটি কুতুবদিয়া, এসটি খিজির, এমভি পারিজাত, এসটি শহীদ সুকান্ত বাবু, বে-ক্রুজ ও এলসিটি কাজলসহ নয়টি জাহাজকে পর্যটক পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে পর্যটক দুর্ভোগের ঘটনায় এলসিটি কাজলের নৌ পারমিট বাতিল করায় সেটি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জাহাজগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের অভিযোগে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ছয়টি অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। এসব অভিযানে এমভি পারিজাতকে দুই দফা জরিমানা ছাড়াও এলসিটি কুতুবদিয়াকে দুই লাখ টাকা, এসটি খিজিরকে এক লাখ, এসটি শহীদ সুকান্ত বাবুকে ১৫ হাজার ও বে-ক্রুজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।