চতুর্থ বিয়ে করায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা

চতুর্থ বিয়ে করার জের ধরে স্বামী জাহিদুল ইসলামকে (৪৫) হত্যা করেছেন তৃতীয় স্ত্রী লাকী বেগম (৩৮)। স্বামীকে হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় আসামি হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার নীলফামারীর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন লাকী বেগম।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি পুলিশ জেলা সদরের গোরগ্রাম ইউনিয়নের কিত্তনীয়া পাড়া গ্রামের জাহিদুলের শয়নকক্ষ থেকে তাঁর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি জাহিদুলের বাবা আবদুল খালেক বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রায় দেড় মাস পর জাহিদুল হত্যায় জড়িত সন্দেহে লাকী বেগমকে গত বুধবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দিঘিরপাড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের পর ওই বাড়িতে তালা ঝোলানো দেখা যায়। এরপর ধীরে ধীরে ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা ১৭ জানুয়ারি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জাহিদুলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় জাহিদুলের মুখে ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চি‎হ্ন পাওয়া যায়।

কিত্তনীয়া পাড়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, প্রায় এক বছর আগে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের আবদুল কাদেরের মেয়ে লাকী বেগমকে জাহিদুল ইসলাম বিয়ে করেন। এটি জাহিদুলের তৃতীয় বিয়ে। তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন জাহিদুল। এরই মধ্যে তিনি চতুর্থ বিয়ে করে ওই স্ত্রীকে অন্যত্র রাখেন।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আকতার বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের পর থেকে জাহিদুলের তৃতীয় স্ত্রী লাকীকে খোঁজা হচ্ছিল। মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী দিঘিরপাড় এলাকায় তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে সেখান থেকে বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে নীলফামারী আনা হয়। গতকাল নীলফামারী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সামিউল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে লাকী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।