ফুডকোর্টটি এখন ছাদে

ছাদের ওপর সীমান্ত স্কয়ারের নতুন ফুডকোর্ট। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সীমান্ত স্কয়ার, ধানমন্ডি, ঢাকা। ছবি: প্রথম আলো
ছাদের ওপর সীমান্ত স্কয়ারের নতুন ফুডকোর্ট। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সীমান্ত স্কয়ার, ধানমন্ডি, ঢাকা। ছবি: প্রথম আলো

সীমান্ত স্কয়ারে ঢুকলে কিছুটা ধাক্কা খেতে হবে। খাওয়ার দোকান ঘিরে চিরচেনা সেই ভিড়-বাট্টা নেই। দোকান ভাঙার কাজ চলছে। সামনের জায়গাটা এখন ফাঁকা। নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে জানা গেল ফুডকোর্টটি নেই। তবে আছে, মাথার ওপরে, ছাদে। 

বলা হয়ে থাকে, খোলা জায়গায় একসঙ্গে ছোট ছোট খাবারের দোকানের ধারণা সীমান্ত স্কয়ারেই শুরু হয়। ঢাকার ধানমন্ডিবাসীর কাছে এখানকার ফুডকোর্টটি বেশ জনপ্রিয়। শপিং বা আড্ডা দিতে এসেই খাওয়ায় মজতেন অনেকে।
সীমান্ত স্কয়ার মার্কেটের ছাদের বড় একটা অংশে ফুডকোর্টটি স্থানান্তর করা হয়েছে। বেশ পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। বসার চেয়ার-টেবিলগুলোও নতুন আঙ্গিকে করা। রোদ বা বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ওপরে ছাউনি আছে। ছাদ থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লেকের দৃশ্য চোখে পড়বে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ ফুডকোর্টের একজন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নাসিরউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, চলতি মাসের ১০ তারিখে খাবারের দোকানগুলো ওপরে চলে আসে। বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন পয়লা ফাল্গুন এর উদ্বোধন করেন। ৩০টি দোকান আছে। ৪০০ জনের মতো বসতে পারবে।
সাইয়ান খান বন্ধুদের সঙ্গে খেতে এসেছেন। নতুন পরিবেশ নিয়ে বলেন, ‘আগের চেয়ে এটা বেটার হয়েছে। চারদিক খোলা। ঘিঞ্জি মনে হচ্ছে না।’ এ ফুডকোর্টের আরেক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, খাবারের দামের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ক্রেতারা ইচ্ছেমতো যেকোনো জায়গায় বসে খাবার অর্ডার করতে পারবেন। ক্রেতাদের ডাকাডাকি করা হবে না।
সীমান্ত স্কয়ার মার্কেটের সহকারী ম্যানেজার কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নিচে অনেক ভিড় হতো। নিরাপত্তার বিষয়টিও ভাবা হয়েছে। সবকিছু চিন্তা করেই ছাদে ফুডকোর্ট স্থানান্তর করা হয়।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এখানে খাওয়া যাবে। মঙ্গলবারে দুপুরের পর খোলা হবে। দুজন নিরাপত্তারক্ষীও থাকছেন সব সময়।