আইনমন্ত্রী নানান বাহানা সৃষ্টি করেছেন

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। ছবি: দীপু মালাকার
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। ছবি: দীপু মালাকার

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। তিনি বলেছেন, এই আইন বাস্তবায়নে আইনমন্ত্রী নানা ধরনের বাহানা সৃষ্টি করেছেন।

আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের জনবিরোধী বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগের প্রতিবাদ এবং আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করার দাবিতে নয়টি সংগঠন যৌথভাবে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল বলেন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন করা হয়েছিল অর্পিত সম্পত্তির নামে যাঁদের জমিজমা দখল করে নেওয়া হয়েছিল, সেই জমিজমার আসল মালিক যাঁরা, তাদের কাছে তা ফেরত দেওয়ার জন্য। লক্ষাধিক মামলা এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ঠিক সে সময় একটি উদ্যোগ নেওয়া হলো। যে জমিগুলো অর্পিত সম্পত্তির নামে রয়ে গেছে, সেগুলো এখন পর্যন্ত প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত যায়নি। তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে এই আইনের কোনো কার্যকর প্রয়োগ নেই।

সুলতানা কামাল বলেন, আইনমন্ত্রী নানা ধরনের বাহানা সৃষ্টি করে এই আইনটার প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত করে রেখে দিয়েছেন। একবার বলছেন আপিল হবে, একবার বলছেন এটার বিরুদ্ধে রিট হবে, একবার বলছেন অনুশাসন, একবার বলছেন এটার বিরুদ্ধে অন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক অভিজ্ঞতা, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যাঁকে আমরা মনে করেছি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির একজন মানুষ। তাঁর ব্যক্তিগত ইতিহাস, সেটাও আমরা অনেকে জানি। কিন্তু আজকের দিনে একটি অবস্থানে গিয়ে যে ভূমিকা নিচ্ছেন, সেটি আমাদের জন্য ভীষণভাবে হতাশাব্যঞ্জক। একেবারেই পাল্টে গেছেন তিনি। কিসের জন্য তিনি অনবরত বিপরীত কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন?’

সুলতানা কামাল বলেন, ‘যদিও সরকার দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। প্রকৃতপক্ষে দেখা যাচ্ছে অনবরত তারা একেবারে বিপরীতমুখী কাজ করে যাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আট দফা দাবিসংবলিত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত। অন্যদের মধ্যে নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলনের সুব্রত চৌধুরী, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।