চোরাচালানির হাতে হাতকড়া পরাতে চায় শুল্ক গোয়েন্দা

চোরাচালানের অপরাধে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে হাতকড়া পরানোর অনুমতি চায় শুল্ক গোয়েন্দা। এ জন্যে গত ১১ ফেব্রুয়ারি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) হাতকড়া ক্রয় এবং তা ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।

জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বাসসকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিমানবন্দর ও চেক পোস্টে স্বর্ণ এবং অবৈধ মালামাল পাচারের অপরাধে প্রায়ই শুল্ক গোয়েন্দারা চোরাচালানকারীদের গ্রেপ্তার করছেন। এরপর আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা, আদালত কিংবা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সময় আসামির হাতকড়া পরা না থাকায় পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আসামি যেন পালিয়ে যেতে না পারে, এ জন্য হাতকড়া পরানোর অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

জ্যেষ্ঠ এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, কাস্টমস আইন, ১৫৬ এর ৫ ধারা মোতাবেক তদন্ত করার স্বার্থে থানায় পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) যে ক্ষমতা ভোগ করেন, শুল্ক গোয়েন্দাকে একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও শুল্ক গোয়েন্দাদের আসামি গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তদন্ত করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। সুতরাং আইনে হাতকড়া পরানোর ক্ষমতা দেওয়া আছে। এখন এনবিআর থেকে তা প্রয়োগের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি চোরাচালানের অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে পালিয়ে যায়। এ জন্য ওই সময় আসামির সঙ্গে থাকা শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। মইনুল খান বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, হাতকড়া পরানো থাকলে আটক আসামি হয়তো পালিয়ে যেতে পারতেন না।