নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর

বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সহকর্মীর কফিন কাঁধে কান্নায় ভেঙে পড়েন সেনা কর্মকর্তারা। ২ মার্চ, ২০০৯।
বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সহকর্মীর কফিন কাঁধে কান্নায় ভেঙে পড়েন সেনা কর্মকর্তারা। ২ মার্চ, ২০০৯।

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরের নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নয় বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ রোববার। হত্যাযজ্ঞে ৫৭ জন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া খুনের মামলার বিচার গত নভেম্বরে হাইকোর্টে শেষ হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তাঁরা।

বিচারিক আদালতের পর হাইকোর্টে মামলার বিচারকাজ শেষ হওয়ায় এখন বিচারের সর্বোচ্চ ধাপ আপিল বিভাগেই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হলে আপিল বিভাগেই মামলার চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারিত হবে। সবার সজাগ দৃষ্টি থাকবে আপিল বিভাগে। এ মামলায় হাইকোর্ট ১৩৯ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন। যাবজ্জীবন বহাল আছে ১৮৫ জনের এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রয়েছে ২০০ জনের।

বিচার প্রসঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশের পর তা পর্যালোচনা করা হবে। এরপর খালাস পাওয়া আসামিদের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে।

আর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের অন্যতম আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নভেম্বরে হাইকোর্ট রায় দিলেও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়নি। তবে আপিল বিভাগে আপিল করার জন্য ইতিমধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ওকালতনামা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আপিলের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শেষে। রায় হাতে পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করা হবে। আপিল বিভাগের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন বলে তিনি আশা করেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহী জওয়ানেরা নৃশংসভাবে হত্যা করে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। হত্যাযজ্ঞের বীভৎসতায় বিমূঢ় হয়ে পড়ে গোটা জাতি।

এক নজরে বিচারিক আদালতের রায়
ঘটনা:
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নিহত: ৫৭ জন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন
রায়: ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর
দণ্ড: ১৫২ জনের ফাঁসি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ১৬১ জনের। ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ২৫৬ জনের। খালাস ২৭৮ জন। সর্বমোট সাজা ৫৬৮ জনের।

নিম্ন আদালতের রায়ের পর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিত ব্যক্তিরাও জেল আপিল ও আপিল করেন। ৬৯ জনকে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এসবের ওপর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়, শেষ হয় ৩৭০তম দিনে, ১৩ এপ্রিল। সেদিন শুনানি শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। হাইকোর্ট ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দুই দিনে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

একনজরে হাইকোর্টের রায়
রায়:
২৭ নভেম্বর ২০১৭
দণ্ড: ফাঁসি বহাল ১৩৯ জনের, যাবজ্জীবন ১৮৫ জনের, ২০০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস ৪৫ জন।

যা ঘটেছিল
দরবার হল থেকে বিদ্রোহ শুরু: মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ছিল বিডিআরের বার্ষিক দরবারের দিন। অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল নয়টায় সদর দপ্তরের দরবার হলে। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, উপমহাপরিচালক (ডিডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ বারী, বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাসহ বিডিআরের নানা পদের সদস্যরা। সরকারি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে, ওই দিন দরবারে উপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ৫৬০ জন।

দরবার শুরুর পর ডিজির বক্তব্য চলাকালে সকাল ৯টা ২৬ মিনিটে মঞ্চের বাঁ দিকের পেছন থেকে দুজন বিদ্রোহী জওয়ান অতর্কিতে মঞ্চে প্রবেশ করেন, একজন ছিলেন সশস্ত্র। শুরু হয় বিদ্রোহ। দরবার হলের বাইরে থেকে গুলির আওয়াজ ভেসে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে লাল-সবুজ রঙের কাপড় দিয়ে নাক-মুখ বাঁধা বিদ্রোহী জওয়ানেরা দরবার হল ঘিরে গুলি শুরু করেন। ডিজি নিজে প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে দ্রুত সেনা হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্রোহীরা কর্মকর্তাদের দরবার হল থেকে সারিবদ্ধভাবে বের করে আনেন। ডিজির নেতৃত্বে কর্মকর্তারা দরবার হলের বাইরে পা রাখা মাত্র মুখে কাপড় ও মাথায় হলুদ রঙের হেলমেট পরা চারজন ডিজিকে লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করেন। ডিজির পর হত্যা করা হয় আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে।

এরপর পিলখানার ভেতরে ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট ছাড়া হলে ওই হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন বিদ্রোহীরা। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে বিদ্রোহীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। তাঁরা মাইকে জানান, আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পিলখানায় আসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে বিদ্রোহীদের নিরস্ত্রীকরণের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বেলা দেড়টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাদা পতাকা নিয়ে পিলখানার ৪ নম্বর ফটকের সামনে যান প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও হুইপ মির্জা আজম। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ১৪ সদস্যের বিডিআর প্রতিনিধিদলকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নানক সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন এবং অস্ত্র জমা দিয়ে ব্যারাকে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন।

কিন্তু সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাকে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবি করেন বিদ্রোহী জওয়ানেরা। তাঁরা আগের মতো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন। সন্ধ্যায় পিলখানার বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের লাশ মাটিতে পুঁতে ও সরিয়ে ফেলা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটায় টেলিভিশন ও বেতারে প্রচারিত জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণ করে ব্যারাকে ফিরে যেতে হবে। এরপর বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ শুরু করেন।

ঢাকার পিলখানায় সশস্ত্র ও সহিংস বিডিআর বিদ্রোহ। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯।
ঢাকার পিলখানায় সশস্ত্র ও সহিংস বিডিআর বিদ্রোহ। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯।


বিস্ফোরক মামলার বিচার কত দূর?
বিডিআরে বিদ্রোহের ঘটনায় দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় হাইকোর্ট গত নভেম্বর মাসে রায় ঘোষণা করেন। কিন্তু ঢাকার আদালতে বিচারাধীন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার বিচার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়ে গেছে। আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে, মামলার ১৩৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৫২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এ মামলার বিচার নিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপক্ষ হত্যা মামলার বিচার নিশ্চিত করার জন্য যেমন উদ্‌গ্রীব ছিল এ মামলায় ততটা উদ্‌গ্রীব নয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও ফারুক আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলার বিচার একেবার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখন মাসে একবার শুনানির তারিখ পড়ছে। হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পরও অনেক আসামি জামিন পাচ্ছেন না, যা অমানবিক। আদালতের কাছে বারবারই বিষয়টি তাঁরা তুলে ধরছেন।
তবে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ প্রতিটি শুনানির সময় সাক্ষী আদালতের কাছে উপস্থাপন করছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সহযোগিতা পাওয়া গেলে বিচার দ্রুত শেষ হবে। বিচার শেষ করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
এ মামলাকে ঐতিহাসিক রায় আখ্যায়িত করেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ। রায়ে আদালত পাঁচ দফা পর্যবেক্ষণ দেন। ১. বিডিআরের বিদ্রোহীরা পরস্পরের যোগসাজশে এবং অভিন্ন লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছেন, যার উদ্দেশ্য ছিল বিডিআরকে (বর্তমান বিজিবি) সেনা কর্মকর্তামুক্ত করা এবং বাহিনীতে নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা । ২. কোনো উসকানি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হতাশা বা ক্ষোভই পিলখানার ৫৭ জন চৌকস ও সম্ভাবনাময় সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ন্যায্যতা দিতে পারে না। ৩. অপরাধের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন ঘটনা। এই হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে জাতি কিছু প্রতিশ্রুতিশীল, উজ্জ্বল, সম্মানিত ও প্রতিভাবান সেনা কর্মকর্তাকে হারিয়েছে। এই ক্ষতি পূরণ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে। বিডিআরের অবাধ্য বিদ্রোহীরা যে মাত্রায় নৃশংসতা দেখিয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নেবে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার মাত্রা ছাড়িয়েছে। ৪. ঘটনা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে এটাই বেরিয়ে আসে যে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাইরের শক্তি নবগঠিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ৫. এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য কোনো মহলের নীলনকশায় দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করা এবং গণতন্ত্রের ধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

অপারেশন ডাল-ভাতের কার্যক্রম নেওয়া উচিত নয়
হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সাত দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। এগুলো হলো, ১. এটা আমাদের আন্তরিক প্রত্যাশা (পায়াস উইশ), অপারেশন ডাল-ভাতের মতো এমন কোনো কার্যক্রম নেওয়া উচিত নয়, যা বিজিবির সদস্যদের গৌরব ও আত্মসম্মানে আঘাত হানে। এটা স্পষ্টত প্রতীয়মান যে এ ধরনের কর্মসূচি তাদের সৈনিকমূলক আচরণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ২. অফিসার ও সৈন্যদের মধ্যকার পেশাদারি সম্পর্ক বিজিবির আইন মোতাবেক হতে হবে। ৩. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবি কর্তৃপক্ষকে বিজিবি সদস্যদের যেকোনো সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সমাধান দিতে হবে। ৪. বিজিবির সদস্য ও কর্মকর্তাদের মধ্যে এখনো কোনো দুঃখ-দুর্দশা থাকলে বিজিবি কর্তৃপক্ষকে তা মিটিয়ে ফেলতে হবে। ৫. বিজিবির কোনো সদস্যের ভ্রমণ ভাতা ও দৈনন্দিন ভাতা এখনো বাকি থাকলে তা দ্রুত মিটিয়ে দিতে হবে। ৬. বিজিবি কর্তৃপক্ষকে তাদের অর্জিত ছুটি এবং এ-সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। ৭. বিডিআরের রাইফেল সিকিউরিটি ইউনিট কেন বিডিআর হত্যাযজ্ঞের আগে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন এবং প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বিজিবি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন আদালত।