সুন্দরবনে গাছ বাড়ছে: বনমন্ত্রী

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ।  প্রথম আলো ফাইল ছবি
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ । প্রথম আলো ফাইল ছবি

গাছ কাটা বন্ধ থাকায় সুন্দরবনে গাছ বাড়ছে বলে দাবি করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনে গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে। গাছ কাটা বন্ধ থাকায় সুন্দরবনে সুন্দরী, গেওয়া, গরানসহ অন্যান্য গাছের সংখ্যা বাড়ছে।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের সদস্য শেখ মো. নুরুল হকের প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সরকারি দলের আনোয়ারুল আজীমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৬ হাজার ৩৪১ জন সদস্য কর্মরত আছেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ৫ হাজার ৪৯৭ জন, নৌবাহিনীর ৩৪১ জন ও বিমানবাহিনীর ৫০৩ জন।

সরকারি দলের সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে আবাদযোগ্য কৃষিজমি প্রায় ৭৯ দশমিক ৪৬ লাখ হেক্টর।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সম্পূর্ণ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বছরে একবার কক্সবাজারে আবহাওয়া পরিবর্তন, ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, মাসিক ভাতা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধারা যেসব সুবিধা পাচ্ছেন, সেগুলো হলো আবাসনসুবিধা, রেশনসুবিধা, শিক্ষা ভাতা, কন্যাদের জন্য বিবাহ ভাতা (এককালীন ১৯ হাজার ২০০ টাকা), উৎসব ভাতা, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে প্রীতিভোজ, ২০ শতাংশ ও তদূর্ধ্ব পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে-বিদেশে বিনা খরচে চিকিৎসাসেবা, মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে গার্ড অব অনারসহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন, সৎকার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোগ, সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫০০ বর্গফুটের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির বিল মওকুফ, যুদ্ধাহত পরিবারের দুই বার্নারের একটি গ্যাসের চুলার গ্যাস বিল মওকুফ, হুইলচেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মোবাইল বিল প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। এই পরিচয়পত্র দিয়ে রেল, বিমান, বাসে বিনা ভাড়ায় যাতায়াতসহ বিভিন্ন সুযোগ পাচ্ছেন।

সংরক্ষিত আসনের নাসিমা ফেরদৌসীর প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতাকারীদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের জন্য ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের জন্য স্থাপত্য অধিদপ্তর থেকে নকশার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই নকশা চূড়ান্ত করা হবে।