ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম সোনাইছড়ি গ্রামের বারআউলিয়া দরগাহ এলাকায় মো. আযম (২২) নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম। এদিকে ছাত্রলীগের দাবি, আযমকে শিবির কর্মীরা হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে। আহত আযম সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম সোনাইছড়ির গাজীপাড়ার ইসমাইল মোল্লার ছেলে ও মধ্যম সোনাইছড়ি (৪ নম্বর) ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। গত বছর চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে বারআউলিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আযম। তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারআউলিয়া বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
আহতের ছোট ভাই মহরম আলী প্রথম আলোকে বলেন, আযম উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পর বড় ভাইয়ের মুদি দোকানে ভাইকে সহযোগিতা করতেন। দোকান থেকে ফেরার পথে কে বা করা তাঁকে কুপিয়েছে, তিনি বলতে পারছেন না। তাঁর ঘাড়ে কিরিচের কোপ রয়েছে। তাঁর বাঁ হাতের চারটি আঙুল পড়ে গেছে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আহত আযম মধ্যম সোনাইছড়ি ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি। ধারণা করা হচ্ছে, বেশ কিছুদিন আগে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল ওই এলাকার শিবিরের এক কর্মী। ওই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ধরিয়ে দিয়েছেন এমন মনে করে তাঁর ওপর হামলা চালায়। আহত আযম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মুমূর্ষু অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারে আছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম শাহেদ প্রথম আলোকে বলেন, শিবিরের কর্মীরা আযমকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে। দলের সক্রিয় নেতা হওয়ায় তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম (উত্তর) জেলা ছাত্র শিবিরের সাধারন সম্পাদক রবিউল হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় ছাত্র শিবিরের কেউ জড়িত না। এটা ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দলের কারণে ঘটেছে।