লালদীঘির সমাবেশ নিয়ে ধোঁয়াশা

পুলিশ এখন পর্যন্ত অনুমতি না দিলেও চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের সমাবেশ বিপুলসংখ্যক লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। আগামী বৃহস্পতিবার এই সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশের অনুমতি চাইতে গত রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন। সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে এমন নিশ্চয়তা তাঁর কাছ থেকে বিএনপি নেতারা পাননি।

 ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে চট্টগ্রামে বিএনপির কার্যক্রম দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন চত্বর ও পাশের নূর আহমেদ সড়কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাইরে নগরের কোথাও বড় ধরনের সমাবেশ করতে পারেনি দলটি। চার বছর পর এই প্রথম লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। লালদীঘি ময়দানের মালিকানা সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের।

বিএনপি সূত্র জানায়, সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী বৃহস্পতিবার বিএনপিকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়।

সরকারের উচ্চ মহল থেকে সবুজ সংকেত পেলে লালদীঘি ময়দানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে বলে জানান নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার মো. মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি জড়িত। গোয়েন্দা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তবে বিএনপি নেতারা বৃহস্পতিবার সমাবেশ করতে পারবেন বলে আশাবাদী। তাঁরা বলছেন, খুলনায় সরকার বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। চট্টগ্রামেও তাঁরা সমাবেশ করতে পারবেন বলে মনে করছেন।

মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। শান্তিপূর্ণ জনসভায় বাধা নেই বলে গত রোববার পুলিশ কমিশনার তাঁদের বলেছিলেন। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, লালদীঘির সমাবেশে দলের মহাসচিব এবং স্থায়ী কমিটির নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বাড়াতে নগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীর।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. নাজিম উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, এক সপ্তাহ ধরে তিনটি সাংগঠনিক জেলার নেতা-কর্মীরা প্রস্তুতি সভা করে যাচ্ছেন। সবাই মিলে লালদীঘি ময়দানের সমাবেশ সফল করার চেষ্টা করছেন।