বউ-শাশুড়িসহ নিহত ৪

পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের মোহাম্মদপুরে বাসের চাপায় বউ-শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ভোলায় ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দুজন। 

পটুয়াখালীর দুর্ঘটনাটি আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় ও ভোলার দুর্ঘটনাটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটে।

পটুয়াখালীতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন শাশুড়ি বিউটি বেগম ও ছেলের বউ নুরুন্নাহার বেগম। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাশুড়ি-বউ আত্মীয় বাড়িতে যাওয়ার জন্য মহাসড়কের পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কুয়াকাটাগামী সাকুরা পরিবহনের একটি বাস তাঁদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বিউটি বেগম এবং হাসপাতালে নুরুন্নাহারের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় নুরুন্নাহারের আড়াই বছরের ছেলে জিয়াদ।

নিহত দুজনের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামে। বিউটি বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন শ্রমজীবী ও নুরুন্নাহার বেগমের স্বামী শামীম মিয়া পেশায় ভ্যানচালক।

সাকুরা পরিবহনের কলাপাড়া কাউন্টারের কর্মী ও পৌরসভার কাউন্সিলর মো. আল আমিন সরদার বলেন, হঠাৎ একটি ট্রলি বাসের সামনে চলে আসায় চালক পাশ কাটাতে গিয়ে বিউটি বেগম ও নুরুন্নাহার বেগমকে চাপা দেয়। বাসটি উল্টে রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে যায়। তবে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বাস ও ট্রলি জব্দ করা হয়েছে। চালক, হেলপার পলাতক রয়েছে।

অন্যদিকে ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের আলিমুদ্দিন এলাকায় ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন দুজন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী গ্রামের আবদুর রাজ্জাক (২০) ও পার্শ্ববর্তী জয়নগর গ্রামের অটোরিকশাচালক মো. সোহাগ। আহত দুই যাত্রী ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ভোলা দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।