নিহত ২৬ বাংলাদেশির ময়নাতদন্তে অন্তত ৩ দিন লাগবে

কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। ছবি: কামরুল হাসান
কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। ছবি: কামরুল হাসান

নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ (বিএস ২১১) বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২৬ জন বাংলাদেশির মরদেহ হিমঘরে রাখা আছে। এঁদের মধ্যে আটজনকে শনাক্ত করা সম্ভব। বাকি কারও চেহারা বোঝা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল।

মন্ত্রী বলেন, নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত শেষ করতে অন্তত তিন দিন লাগবে। যাঁদের শনাক্ত করা যাবে, তাঁদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এই মরদেহ ঢাকায় নেওয়া হবে। যাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে না, তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

আজ বুধবার নেপালের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা থেকে দুটি মেডিকেল টিম কাল কাঠমান্ডু আসবে।

এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেন, কেউ যদি তাঁদের আহত আত্মীয়স্বজনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে বা দেশে নিতে চান নিতে পারবেন, তবে চিকিৎসার খরচ নিজেদের বহন করতে হবে। আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে (কেএমসি) আছেন আটজন। ওম হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে আছেন একজন। নরভিক হাসপাতালে আছেন একজন।

কেএমসির আটজনের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে ইমরানা কবীর হাসির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল। নামার আগেই এটি বিধ্বস্ত হয়ে বিমানবন্দরের পাশের একটি খেলার মাঠে পড়ে যায়। উড়োজাহাজটিতে ৪ জন ক্রু ও ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানসহ ৫০ জন নিহত হয়েছেন।