স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ

স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী জালাল সানা। ছবি: প্রথম আলো
স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী জালাল সানা। ছবি: প্রথম আলো

পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামী থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকালে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী।

নিহত গৃহবধূর নাম নাসিমা খাতুন (৩৫)। তিনি রঘুনাথপুর গ্রামের জালাল সানার স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানের জননী।

নিহত নাসিমার দুই কিশোরী কন্যা রাবেয়া খাতুন ও খাদিজা খাতুন জানায়, তার বাবা জালাল সানার সঙ্গে মা নাসিমা খাতুনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বাবা নানাভাবে নির্যাতন করতেন মাকে। একপর্যায়ে বাবা শ্যামনগর উপজেলায় আলাদা বসবাস করা শুরু করেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে মাকে মারধর করতেন। গতকাল তার বাবা শ্যামনগর থেকে বাড়ি আসেন। রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে মা-বাবা একসঙ্গে ঘুমাতে যান।

কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হাসান জানান, আজ সকাল ছয়টার দিকে জালাল সানা থানায় এসে জানান, রাত তিনটার দিকে তিনি তাঁর ঘুমন্ত স্ত্রীকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছেন। তাঁকে আটকের পর গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে নাসিমার লাশ পাওয়া যায়।
উপপরিদর্শক আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়। নাসিমা খাতুনের গলার বাঁ পাশে কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তাঁর লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবীর দত্ত জানান, এ ঘটনায় নাসিমার বাবা আনোয়ার হোসেন মোড়ল বাদী হয়ে জালাল সানাকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।