সন্ধ্যা নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

বরিশালের বানারীপাড়া সন্ধ্যা নদী (কৃষ্ণকাঠি) সিএস ও আরএস রেকর্ড অনুসারে তিন মাসের মধ্যে জরিপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নদীর জায়গায় থাকা দখল ও স্থাপনা চার মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষ আজ বুধবার এ রায় দেন।

সন্ধ্যা নদী ভরাট করে আবাসন প্রকল্প তৈরি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ২০০৯ সালে রিট আবেদনটি করে। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩১ মে হাইকোর্ট রুল দেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, তাঁকে সহায়তা করেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই নদীর জায়গায় ‘কাজলাহার আশ্রয়ণ’ প্রকল্প গ্রহণ ও কার্যকর করা অবৈধ ঘোষণা করে সাত দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে জরিপ শেষ করে অবৈধ দখলকারীদের তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন অনুসারে ওই প্রকল্পে যেসব গরিব লোকদের আবাসনের প্রস্তাব করা হয়েছিল, তাদের অন্য সরকারি জমিতে পুনর্বাসন করতে বলা হয়েছে। আইন ভঙ্গ করে নদীর জায়গায় মাটি ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পরিবেশ আইনের ৭ ধারা অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।