কোটা সংস্কার বিরোধীদের মানববন্ধন

কোটা সংস্কারকারীদের বিচারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মানববন্ধন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, [ ১৬ মার্চ, ২০১৮। ছবি: আহমেদ দীপ্ত
কোটা সংস্কারকারীদের বিচারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মানববন্ধন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, [ ১৬ মার্চ, ২০১৮। ছবি: আহমেদ দীপ্ত

যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কারের দাবি তুলছেন, তাঁরা স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি—এমনটাই বলছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা। তাঁদের অভিযোগ, কোটা সংস্কারের দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এক ধরনের অবমাননা। তাঁদের শাস্তি দিতে হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোটা সংস্কারপন্থীরা সরকারের কাছ থেকে ফায়দা নেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিপক্ষে আন্দোলনে নেমেছে।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও সমাবেশের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা কোটা সংস্কারপন্থীদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানান। ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. আবদুর রশিদ মণ্ডল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ যখন হয়েছিল, তখন এই কোটা সংস্কারের দাবি যারা তুলছেন, তাঁদের বাবা-দাদারা কোথায় ছিলেন? আমাদের বাবারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে এনেছিল। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার কোটা আছে, থাকবে। এসব আন্দোলন করে কিছু হবে না। বরং সরকারকে অনুরোধ সর্বস্তরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু করা হোক।

এক ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে উপস্থিত পাবনার মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁরা স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি। আমি এর প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই। বরং এদের বিচার করতে হবে।’

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. গাজী আলম ভূঁইয়া বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতাকারী তাঁরা স্বাধীনতার বিরোধী পক্ষের সন্তানেরা। তাঁরা রাজাকারের উত্তরসূরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ তিনি যেন মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন।

সংগঠনটির পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, বিসিএস পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি ধাপ থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করা, মুক্তিযোদ্ধা কোটার শূন্য পদ সংরক্ষণ করে বিশেষ নিয়োগে কোটা পূরণ করা, ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার শূন্যপদে চলতি বছরে নিয়োগ দেওয়া এবং অবমাননাকারীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।