দেশে ফিরলেন আরও তিনজন

কাঠমান্ডুতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও তিনজনকে দেশে আনা হয়েছে। তাঁদের নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। ঢাকা, ১৬ মার্চ। ছবি: সংগৃহীত
কাঠমান্ডুতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও তিনজনকে দেশে আনা হয়েছে। তাঁদের নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। ঢাকা, ১৬ মার্চ। ছবি: সংগৃহীত

উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আজ শুক্রবার দেশে ফিরে এসেছেন বিধ্বস্ত ইউএস–বাংলার আহত তিন যাত্রী। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাঁদের বার্ন ইউনিটের কেবিনে নেওয়া হয়।

আহত এই তিনজন হলেন গাজীপুরের শ্রীপুরের বাসিন্দা সৈয়দ কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি ও মেহেদি হাসান। এর আগে আজ বাংলাদেশ সময় সোয়া বেলা দুইটার দিকে কাঠমান্ডু ছাড়েন তাঁরা। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশি ১০ যাত্রীর মধ্যে পাঁচজন কাঠমান্ডু ছাড়লেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, আগামী রোববার পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন করে স্বর্ণা, অ্যানি ও মেহেদিকে চিকিৎসা দেওয়া হবে। আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের শরীরে সেভাবে পোড়ার ক্ষত নেই। তবে তাঁরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত (ট্রমা)। পাশাপাশি অ্যানি ও স্বর্ণার শ্বাসনালিতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়া ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। তাঁদের শরীরের অন্যান্য পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হবে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ বিজি-০৭২ ফ্লাইটে এই তিনজনকে দেশে আনা হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁরা কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কেএমসি) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত সোমবার ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। এঁদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি।

আজ এই তিন যাত্রীকে পাঠানোর সময় উপস্থিত ছিলেন নেপালে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। তিনি বলেন, এখানকার চিকিৎসকেরা এসব যাত্রীকে বিমানে ওড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই তাঁদের দেশে পাঠানো হচ্ছে।

এর আগে আহত যাত্রী রিজওয়ানুল হককে সিঙ্গাপুরে ও শাহরিন আহমেদকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। শাহরিন এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

এখন আহত যে পাঁচজন বাংলাদেশি নেপালে আছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন কেএমসিতে ও আরেকজন নরডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আজ ফেরত পাঠানো যাত্রীদের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেন, তাঁদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে তাঁদের পরিবার দেশে বা বিদেশে চিকিৎসা দিতে চাইলে নিয়ে যাবেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক মনোয়ার হোসেন ও আহত মেহেদি হাসানের ভাই সোহানুর রহমান।