'নেপালে চিকিৎসায় ঘাটতি ছিল না'

নেপালে যাওয়া বাংলাদেশি চিকিৎসকেরা বলেছেন, বিমান বিধ্বস্তে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় এখানে কোনো ঘাটতি ছিল না। নেপালের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার সঙ্গেই যথাসম্ভব সেবা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে আসা মেডিকেল দলের সদস্য হোসাইন ইমাম আজ শনিবার প্রথম আলোকে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক।

গত সোমবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি। আহত হন ১০ বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁদের সেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল দল পাঠানো হয়।

হোসাইন ইমাম বলেন, ‘এই মেডিকেল দলের সদস্যরা নেপালে আসার পর সমস্ত রোগীকে আমরা দেখেছি। পুরো চিকিৎসাব্যবস্থাকে আমরা আমাদের মতো করে পর্যালোচনা করেছি।’
হোসাইন ইমাম বলেন, ‘নেপালে সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যে তারা যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে এই রোগীগুলোকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। চিকিৎসাব্যবস্থায় আমার মনে হয় না কোথাও কোনো ঘাটতি রেখেছে। যখন যেটা দরকার, তখনই সেটা করেছে। যে কারণে আহত যেসব রোগী এখানে ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা কিন্তু কেউ খারাপ হননি। তাঁরা একটা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছেন। এখন পরবর্তী চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হবে।’
নেপালি চিকিৎসক, প্রশাসন ও সরকারকে ধন্যবাদ দেন অধ্যাপক ইমাম। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের একটি অবস্থায় যে ধরনের চিকিৎসা দরকার, তারা তাদের সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যে থেকে তার যথাসম্ভব করার চেষ্টা করেছে।’
আহত বাংলাদেশিদের প্রায় সবাই ছিলেন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর একজন আছেন নরভিক হাসপাতালে। আজ পর্যন্ত মোট পাঁচজন দেশে ফিরে এসেছেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন চারজন বাংলাদেশি আছেন। হোসাইন ইমাম বলেন, ‘এর মধ্যে তিনজনকে আমরা মনে করেছি তাঁরা সাধারণ ফ্লাইটে মেডিকেল সহায়তায় দেশে ফেরত যেতে পারেন। দুজন রোগীর অবস্থা বেশ জটিল। তাঁরা হলেন ইমরানা কবির ও ইয়াকুব আলী। ইমরানার পরিবারের বাবা গতকাল এসেছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠাতে চান তাঁদের পরিবার। আমরাও মনে করেছি তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠাতে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলেই তাঁকে পাঠানো হবে।’
অন্য এক আহত ইয়াকুব আলী আছেন নরভিক হাসপাতালে। হোসাইন ইমাম বলেন, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তারপরও মাথার বিষয়। তাঁকে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়ে কথা চলছে।