সিলেটে অগ্নিকাণ্ডে মা-শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

সিলেটের গোলাপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে মা-শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোররাতে ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষ্মণাবন্দ গ্রামের একটি কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। ভোররাতে বজ্রপাতের পরপরই কলোনির গ্যাস রাইজারের বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন তাসলিমা বেগম (৩০), তাঁর দুই বছর বয়সী সন্তান তাহমিদ, সেফু বেগম (২২), সেবুল মিয়া (১৫) ও অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাসলিমা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে পরিবার সূত্র জানিয়েছে। আগুন নেভাতে ও উদ্ধারকাজের সময় কলোনির বাসিন্দাসহ আশপাশের এলাকার আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করে জানা গেছে, অগ্নিদগ্ধ একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কলোনির পাশের বাসিন্দারা জানান, ভোররাত চারটার দিকে শব্দ করে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। কলোনিতে পাশাপাশি অন্তত তিনটি ঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরও অন্তত চারটি ঘরে। আশপাশের লোকজন ঘণ্টাখানেক পানি ফেলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টার পাশাপাশি ঘর থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে সকাল ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন বলছেন, বজ্রপাতের পরপরই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় কলোনির গ্যাসের রাইজারও বিস্ফোরিত হয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস থেকে আগুন লেগেছে। কলোনির তিন কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা ঘরের গ্যাস রাইজার বিধ্বস্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি দমকল বাহিনীর সদস্যরা দেখে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।