কোটা সংস্কারের দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি

মামলা প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কারের পক্ষের আন্দোলনকারীরা। ছবি: সাজিদ হোসেন
মামলা প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কারের পক্ষের আন্দোলনকারীরা। ছবি: সাজিদ হোসেন

মামলা প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আন্দোলনকারীরা। একই সঙ্গে ২৫ মার্চ তাঁরা শিক্ষা সনদ গলায় ঝুলিয়ে রাস্তা ঝাড়ু দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নেন। পরে মিছিলটি শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত মোড় হয়ে ফের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা কোটাবিরোধী স্লোগান দেন এবং শাহবাগ থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি তোলেন। সেখানে বক্তব্য দেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

এ ছাড়া নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। ২৫ মার্চ তাঁরা গলায়, কাঁধে বা হাতে সব শিক্ষা সনদ নিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে শহীদ মিনারে যাওয়ার রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করবেন। আন্দোলনকারীরা জানান, অহিংস প্রতিবাদ হবে। এভাবেই তাঁরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ চান।

মামলা প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কারের পক্ষের আন্দোলনকারীরা। ছবি: সাজিদ হোসেন
মামলা প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কারের পক্ষের আন্দোলনকারীরা। ছবি: সাজিদ হোসেন

আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবি হলো কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।

১৪ মার্চ কোটা সংস্কারের দাবিতে চাকরিপ্রত্যাশীদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভকারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে গেলে হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অনেকে আহত হন। সেখান থেকে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। পরে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনতে গেলে আরও ৫০ জনকে আটক করে রমনা থানার পুলিশ। এর প্রতিবাদে ওই দিন সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করলে একপর্যায়ে তাঁদের দাবির মুখে পুলিশ আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয়।

পরদিন পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা এবং গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ৭০০ থেকে ৮০০ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মির্জা মো. বদরুল হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।