এখনো সমাবেশের অনুমতি পায়নি বিএনপি

রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি।
রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাল সোমবার বিএনপি জনসভার যে ঘোষণা দিয়েছিল, আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত তার অনুমতি মেলেনি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ এ কথা জানান।

দুই দফায় জনসভার তারিখ ঘোষণা করে অনুমতি না পাওয়ায় তৃতীয়বারের মতো অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি।

আজ নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রিজভী।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর বর্তমানে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে আছেন তিনি।

তাঁর মুক্তির দাবিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার ডাক দেয় বিএনপি। তখন অবশ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একুশে গ্রন্থমেলা চলছিল। এই কারণ দেখিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জনসভার অনুমতি দেয়নি।

এরপর ১২ মার্চ আবারও জনসভা করার কথা জানানো হয়। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। জনসভার অনুমতি না পেয়ে ওই দিনই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার ঘোষণা দেন।

জনসভার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সমাবেশের ব্যাপারে আমরা এখনো অপেক্ষা করে আছি। আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন জনসভার যদি অনুমতি আসে, তাহলে আমরা প্রস্তুতি পুরোদমে চালিয়ে যাব এবং আমাদের স্টেজ করা অন্য যে বিষয়গুলো, সেগুলো আমরা শুরু করে দেব। আমরা নির্দেশ পেলেই জনসভার কার্যক্রম শুরু করব। গণপূর্ত জানিয়েছে, পুলিশের অনুমতি পেলেই তারা মাঠ দিয়ে দেবে।’

একই দাবিতে ১০ মার্চ খুলনায় ও ১৫ মার্চ চট্টগ্রামে জনসভা করেছে বিএনপি। এ ছাড়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৪ দিন নানা কর্মসূচিও পালন করেছে দলটি। এসব কর্মসূচির কয়েকটিতে পুলিশ বাধাও দিয়েছিল।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দীর জনসভার অনুমতির বিষয়ে গতকাল শনিবার ডিএমপিতে গিয়েছিল বিএনপির প্রতিনিধিদল। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুইয়া, আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ডিএমপিতে গেলেও কমিশনারের সাক্ষাৎ পাননি।

দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডিএমপিতে ছিলাম। আমাদের বলা হয়েছে, কমিশনার স্যার মিটিংয়ে আছেন। তাই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা কম। এরপর ডিএমপি কমিশনারের সাক্ষাৎ না পেয়ে চলে এসেছি।’