শেখ কামাল সেতুর মুখ যেন পরিবহন-স্ট্যান্ড

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আন্ধারমানিক নদের ওপর শেখ কামাল সেতুর উত্তর প্রান্তে অবৈধভাবে পরিবহন-স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। এ প্রান্তে সংযোগ সড়কের ওপর যানবাহন দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। ফলে সেতুটির প্রবেশমুখে যানজট তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। 

কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা দেশের সর্বদক্ষিণাঞ্চল। বিশ্বের একমাত্র এ সৈকত থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন অনেক পর্যটক বেড়াতে যান। এই পথেই শেখ কামাল সেতুর অবস্থান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) একটি বাসের চালক বলেন, সংযোগ সড়ক থাকবে পরিষ্কার। এখন সেই সংযোগ সড়কসহ সেতুর প্রবেশমুখ বাস, মোটরসাইকেল আর অটোরিকশার স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এর ফলে তীব্র যানজটসহ ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির কলাপাড়া অংশের সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখে টেবিল পেতে লোকাল গাড়ির টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। সড়কের ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে বাস।
স্থানীয় লোকজন বলেন, এখানকার প্রতিদিনের চিত্রই এ রকম। এ সড়কের ওপর শুধু লোকাল বাসের যাত্রী ওঠানামা করা হয়, এমন নয়। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা, মহিপুর, হাজীপুর ও আলীপুর যাওয়ার জন্য যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইক ও মাহেন্দ্রর চালকেরাও এখানে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করে থাকেন। এমনকি সড়কের বিরাট অংশজুড়ে কুয়াকাটা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন কোম্পানির বাসগুলোও নিয়মিত দাঁড় করিয়ে রাখতে দেখা যায়।
জানতে চাইলে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সহসভাপতি বাবু পাল বলেন, ‘সমস্যাটা হয়েছে মোটরসাইকেল, টমটম আর অটোরিকশার কারণে। ওরা ওই জায়গায় না দাঁড়াইলে আমরাও বাস দাঁড় করাইতাম না। এইগুলার কারণে আমরা যাত্রী পাই না। ফলে বাধ্য হয়েই বাস দাঁড় করাইতে হইতেছে।’
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেতু এলাকার এ অবস্থা আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে। আমি কোথাও এমন অবস্থা দেখি নাই। আমরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন দেখছি না। আমি নতুন করে কলাপাড়ার ইউএনওকে চিঠি দিয়ে এ সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা চাইব।’
জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার ইউএনও মো. তানভীর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এখানে সদ্য যোগ দিয়েছেন। সওজ থেকে কোনো চিঠি পাননি। তবে ওই সেতুর কাছে সমস্যা রয়েছে। সওজের চিঠি পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।