জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুরের বন্ধুর রিমান্ড

ফয়জুর রহমান। ফাইল ছবি
ফয়জুর রহমান। ফাইল ছবি

অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুলের এক সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সোহাগ মিয়া (২৪) নামের ওই তরুণকে আজ সোমবার সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য ভূষণ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার ভোরে সিলেট নগরের কালীবাড়ি এলাকা থেকে সোহাগকে আটক করে জালালাবাদ থানার পুলিশ। আটকের পরপরই সোহাগকে জালালাবাদ থানায় দায়ের করা মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার হামলাকারী ফয়জুর ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তাতে সোহাগের নাম বলেছেন। সোহাগ ফয়জুরের সঙ্গী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগরে।

ফয়জুরের আগে বিভিন্ন দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁর বাবা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুর রহমান ও বড় ভাই এনামুল হাসানকে। এই চারজন মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে রয়েছেন। তাঁরা ফয়জুরের মতাদর্শগত পরিবর্তন নিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ফয়জুরকে ৮ মার্চ ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। গতকাল রোববার ১০ দিনের রিমান্ড শেষে দুপুরে পুলিশ সিলেট মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে ফয়জুর হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে জাফর ইকবালকে পেছন থেকে মাথায় ছুরিকাঘাত করে ফয়জুর। হামলার পরপরই ফয়জুরকে ধরে ফেলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে র‍্যাব তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে শেখপাড়ার বাসিন্দা ফয়জুর। গ্রামের বাড়ি দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কলিয়ার কাপন গ্রামে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।