চার মাস পর মিলল কঙ্কালের পরিচয়

• কঙ্কাল উদ্ধারের চার মাস পর মিলল পরিচয়।
• খবর পেয়ে ছুটে এসেছিলেন মাহিতের পরিবার।
• মোটরসাইকেলের জন্যই হত্যা করা হয়েছিল মাহিতকে।


অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটির পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। চার মাস আগে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটক করা মেহেদি হাসান (২২) নামের এক যুবক ওই কঙ্কালের পরিচয়ের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিজে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কঙ্কালটি মাহিত হাসান নামের এক যুবকের। তিনি ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।

মেহেদি হাসান নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর নবীনগর উপজেলার সোহাতা গ্রামের একটি ডোবা থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। কঙ্কালের একটি হাতের অর্ধেক ছিল না। একই দিন গ্রামের কানাবাড়ী মোড়ে একটি হাতের অর্ধেক অংশের হাড় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই কঙ্কাল ও হাড় উদ্ধার করে।

কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে মাহিতের পরিবারের লোকজন ঢাকা থেকে নবীনগর ছুটে আসেন। কিন্তু কঙ্কালটি মাহিতের বলে তাঁরা শনাক্ত করতে পারেননি। ওই সময় নবীনগর থানা-পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে মাহিতের মুঠোফোন নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য রেখে দেন।

পরে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদারের সহযোগিতায় উপপরিদর্শক (এসআই) অসীম চন্দ্র ধর তদন্ত করে মাহিতের পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া মুঠোফোনের সূত্র ধরে মেহেদিকে আটক করেন। গত শনিবার রাতে উপজেলার শ্রীরামপুর থেকে আটক করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে কঙ্কালটি ঢাকার বাড্ডা থানার মাহিত হাসান নামের এক যুবকের বলে পুলিশকে জানায় মেহেদি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শ্রীরামপুর এলাকা থেকে মাহিতের কালো রঙের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে মাহিতকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মেহেদি। মোটরসাইকেলের জন্যই মাহিতকে হত্যা করা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার জানান, ২০১৭ সালের শেষের দিকে ঢাকার বাড্ডা এলাকার কবির মিয়ার ছেলে মাহিত হাসান নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় মাহিতের মা রাবেয়া খাতুন বাড্ডা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে কঙ্কাল উদ্ধারের পর পরিবারটি নবীনগর ছুটে এলেও পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় তখন তা হস্তান্তর করা হয়নি।