ঢাকায় মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় মামলা

রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে গারো সম্প্রদায়ের দুই নারী খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে গুলশান থানায় মামলাটি হয়।

নিহত দুই নারী হলেন সুজাতা চিরান (৪০) ও তাঁর মা বেশথ চিরান (৬৫)। সুজাত তাঁর মা, তিন মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে (ক) ৫৮/২ কালাচাঁদপুরের ছয়তলা বাড়ির চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নিহত সুজাতা চিরানের স্বামী আশিষ মানকিন হত্যা মামলা করেছেন। ওসি জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার সূত্র ধরে তাঁদের দল মাঠপর্যায়ে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ির মালিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে গুলশান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাত ১১টার দিকে তারা লাশ দুটি উদ্ধার করে। সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সুজাতের গলাকাটা মরদেহ ঘরের একটি খাটের ওপর থেকে এবং তাঁর মা বেশথের মরদেহ পাশের শোয়ার ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

সূত্র বলেছে, সুজাতের বড় মেয়ে মায়াবীর স্বামী পিলেস্তা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই বাসায় আসেন। সে সময় তিনি দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে ভেতরে ঢুকে তিনি সুজাত ও তাঁর মা বেশথ চিরান মরদেহ দেখতে পান। তিনি বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির মালিক গুলশান থানায় ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন বলেন, বাড়ির নিচতলায় থাকা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল চারটার দিকে সুজাতের বোনের ছেলে সঞ্জীব চার ব্যক্তিসহ বাসায় এসেছিলেন। তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার এস এম মোশতাক আহমেদ খান বলেন, সুজাতকে গলা কেটে এবং তাঁর মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে খুনের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

সুজাতের তিন মেয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনার সময় তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ছিলেন। সুজাতের স্বামী আশিষ মানকিনও সেময় নিজ কর্মস্থলে ছিলেন বলে জানান। সুজাতের একমাত্র ছেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ গ্রামে থাকেন।