৫২ শতাংশ পোশাকশ্রমিকই নির্দিষ্ট সময়ে মজুরি পান না

শ্রম আইন অনুযায়ী, আগের মাসের মজুরি পরের মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তবে ঢাকা ও গাজীপুর এলাকার তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরত ৫২ শতাংশ শ্রমিক মাসের প্রথম সপ্তাহে মজুরি পান না। আর চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় সেটি ৩৬ শতাংশ।

তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকের অবস্থা ও অধিকার নিয়ে এক সমীক্ষাধর্মী গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা তেরে দেস হোমস ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়তায় গবেষণাটি করেছেন মাহমুদুল এইচ সুমন, আহমেদ বোরহান ও নাজনীন শিফা। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের ৭৭০ জন শ্রমিকের ওপর জরিপ চালিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে।

রাজধানীর গুলশানে স্পেক্ট্রা কনভেনশনে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ, পোশাকশিল্প শ্রমিকদের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিক প্রতিনিধি বেগম শামছুন্নাহার ভূঁইয়া, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ।

গবেষণায় উঠে এসেছে, নানা অজুহাতে শ্রমিকদের মজুরি কর্তন করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিকেরা বুঝতে পারেন না কেন তাঁর মজুরি কাটা গেল। ঢাকা ও গাজীপুরের ২৯ শতাংশ এবং নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ৪০ শতাংশ শ্রমিকের মজুরি কর্তনে ঘটনা ঘটে।

ওই অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই পোশাকশিল্প শ্রমিকের নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, অনেকেই পোশাকশ্রমিকের জন্য লিভিং ওয়েজের (জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয়) দাবি করছেন। তবে সেটির সময় এখনো আসেনি।