ছেলেকে হত্যার অভিযোগ, মা গ্রেপ্তার

ঢাকার সাভারে আড়াই বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পৌর এলাকার ছায়াবীথি মহল্লার একটি বাসা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। সোয়াদ নামের ওই শিশুটির বাবা আবদুল মোমেন অভিযোগ করেছেন, পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তাঁর স্ত্রী ছেলেটিকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় তিনি স্ত্রী বাবলি আক্তার ও তাঁর প্রেমিক সুমনসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

পুলিশ বাবলি আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে বাবলি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়া সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও ছেলেকে হত্যার কথা অস্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সাভার মডেল থানার পুলিশ ও শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, চার বছর আগে সাভার পৌর এলাকার জালেশ্বর মহল্লার আবদুল মোমেনের সঙ্গে পাশের ছায়াবীথি এলাকার বাবুল ভাণ্ডারির মেয়ে বাবলি আক্তারের বিয়ে হয়। ছয় মাস আগে ওই দম্পতির মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এ কারণে চার মাস আগে বাবলি তাঁর ছেলে সোয়াদকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো যোগাযোগ ছিল না। এর মধ্যে ফেসবুকে সুমন খান নামের এক তরুণের সঙ্গে বাবলির পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বাবলি তাঁর স্বামীকে তালাক দিয়ে সুমনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এ কারণেই বাবলি তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছেন।

আবদুল মোমেন বলেন, পরকীয়ার কারণেই বাবলি তাঁর ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বিষয়টি নিছক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। বাবলির বরাত দিয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল বাশার বলেন, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে বাবলি সুমনের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে ছেলেকে হত্যার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। খাট থেকে পড়ে গিয়ে সোয়াদের মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, বাবলির শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।