ধোঁয়া ওড়ে, মশা মরে না

ভবনের ভূগর্ভস্থ তলায় জমে আছে পানি। তাতে ভাসছে ময়লা। মশার বংশবিস্তারের জন্য এটি উপযুক্ত পরিবেশ। গতকাল দুপুরে উত্তর কলাবাগানে।  ছবি: প্রথম আলো
ভবনের ভূগর্ভস্থ তলায় জমে আছে পানি। তাতে ভাসছে ময়লা। মশার বংশবিস্তারের জন্য এটি উপযুক্ত পরিবেশ। গতকাল দুপুরে উত্তর কলাবাগানে। ছবি: প্রথম আলো

বিকট শব্দ তুলে মশা মারার জন্য ফগার মেশিনে ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকার অধিবাসীরা বলেছেন, মেশিন থেকে শুধু ধোঁয়াই বের হয়, মশা মরে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে কলাবাগানকে চিকুনগুনিয়া বিস্তারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ওই এলাকায় গেলে বাসিন্দারা বলেন, এলাকায় মশা মারতে এসে শুধু প্রধান সড়কেই ধোঁয়া দেওয়া হয়। বাসাবাড়ির আনাচে-কানাচে মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। ফলে মশার দাপট থেকেই যায়।

কলাবাগানের ডলফিন গলির এক দোকানি বলেন, গতকালই অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু শুধু রাস্তার ওপর ধোঁয়া দিয়ে গেছে।

উত্তর কলাবাগানের ৪৩ / ৩ বাড়ির বাসিন্দা মো. মানিক বলেন, ‘আমাদের এলাকা ভিতরের দিকে হওয়ায় মশা নিধনকারীরা খুব বেশি আসে না। এই মাসে একবার আসছিল।’

গ্রিন রোডের শাইনপুকুর গলির ১৬৮ /সি বাড়ির বাসিন্দা স্বপ্না ডি কস্তা বলেন, ‘মশা নিধন বলতে তো শুধু কেরোসিন পুড়িয়ে ধোঁয়া দেওয়া হয়। মশা নিজেদের টাকাতেই মারতে হয় আমাদের।’

লেক সার্কাস রোডের এক বাসিন্দা বলেন, মশা নিধনের অভিযান নিয়মিতই চালানো হয়। কিন্তু কোনো কাজ হয় না। দিনের বেলাতেও মশা কামড়ায়। মশারি, কয়েল ছাড়া রাত কাটানো যায় না।

কিন্তু ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহমেদ ঢালী বললেন, ‘মশা মারতে আমাদের অভিযান চলছে। সেটি অব্যাহত থাকবে।’ তবে তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর এলাকা যে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় আছে, তা তিনি জানেন না। এই প্রতিবেদকের কাছেই প্রথম শুনলেন।