বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের অবহেলায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগে রোগীরা স্বজনেরা গত বৃহস্পতিবার তিনজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মারধর করেন এবং হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা সেই দিন রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছিলেন।
শিক্ষানবিশ চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু আহমেদ আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে জানান, বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামানের উপস্থিতিতে সার্কিট হাউসে এক সভায় সার্বিক বিষয় নিয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস পাওয়ায় ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানান, আজ সকাল সাড়ে নয়টায় বরিশাল সার্কিট হাউজের দ্বিতীয় তলায় সভাকক্ষে এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন সাহা, হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল কাদির, জেলা বিএমএর সভাপতি ইসতিয়াক হোসেন, স্বাচিপের সভাপতি কামরুল হাসান , হাসপাতালের গাইনির বিভাগীয় প্রধান শিখা রানী সাহা, বরিশাল নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আব্দুর রউফ, শিক্ষানবিশ চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রমুখ।
বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, সভার হাসপাতালের একাধিক স্থানে অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আনসার সদস্য নিয়োগ ও বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের ওপর রোগীর স্বজনদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাজিমুল হককে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খাদিজা আক্তার (২৩) নামের নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়। ওই নারীর স্বামী ও স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অবহেলায় এই মৃত্যু হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ স্বজনেরা হাসপাতালের তিনজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মারধর করেন এবং গাইনি বিভাগের অস্ত্রোপচার কক্ষের দরজার কাচ ভাঙচুর করেন।