শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগ নেতা ছুরিকাহত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদককে ছুরিকাঘাত করেছেন একই সংগঠনের আরেক নেতা। আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জাহিদ হাসান নাইম। তিনি বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বেলা আড়াইটার দিকে ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কার করা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু সাঈদ আকন্দের অনুসারী এক কর্মীকে শাহপরান হলের ৩২৫ নম্বর কক্ষ থেকে বের করে দিতে যান ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান নাইম। এ সময় ওই ছাত্রলীগ কর্মীর পক্ষ নিয়ে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রশিদ বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে জাহিদ হাসানকে ছুরিকাঘাত করেন আবদুর রশিদ। জাহিদকে বাঁচাতে গিয়ে সাদ্দাম নামে অপর ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁকেও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক দেবপদ রায় প্রথম আলোকে বলেন, আহত দুজনকে হাসপাতালের ৫ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহেদুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হামলার শিকার জাহিদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী। হামলাকারী আবদুর রশিদ সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় হল প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জরুরি বৈঠক হয়।

গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি রেস্তোরাঁয় বসে ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তরিকুল ইসলামের ওপর হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরের দিন বুধবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু সাঈদ আকন্দ ও সাজিদুল ইসলাম সবুজসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে এক পক্ষ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী। আরেক পক্ষ সদ্য বহিষ্কার হওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু সাঈদ আকন্দ ও সাজিদুল ইসলামের অনুসারী।