পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাশার ওরফে বাশার মেম্বর (৩৫)। পুলিশের দাবি, তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের ভাষ্য, ‘রাত পৌনে দুইটার দিকে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ছয়ানি সড়কের জুবিরখালী ব্রিজের দক্ষিণ মাথায় বাজার সড়কের সংযোগস্থলে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে বাশার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। পুলিশের চারজন সদস্য আহত হয়েছেন।’

ওসি মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, গোপন সংবাদে গতকাল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকার একটি বাসা থেকে বাশারকে আটক করে পুলিশ। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাশারকে নিয়ে বেগমগঞ্জ থানায় পৌঁছায় পুলিশ। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে গেলে দেশি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান বাশারের লোকজন। তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় চলে। একপর্যায়ে বাশার বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাশারকে উদ্ধার করে পুলিশ। নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সা কর্মকর্তা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাশারের শ্যালক আবদুল কুদ্দুস দাবি করেন, গতকাল ভোর চারটার দিকে সীতাকুণ্ড থেকে বাশারকে আটক করে পুলিশ। গতকাল দিনভর তাঁরা বেগমগঞ্জ থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট এসআইয়ের সঙ্গে অসংখ্যবার যোগাযোগ করেন। কিন্তু বাশারকে আটকের বিষয়টি তাঁরা অস্বীকার করেন। রাত দুইটার দিকে জুবিরখালী ব্রিজের দক্ষিণ মাথায় বাজার সড়কের সংযোগস্থলে কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। সেখানে গিয়ে এলাকাবাসী রক্তের দাগ দেখতে পান। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, বাশারের লাশটি রেখে গেছে পুলিশ।

ওসি মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, বন্দুকযুদ্ধে এসআই জসিম উদ্দিন ও মো. মোস্তফা এবং কনস্টেবল কল্প চাকমা ও দিদার আহমেদ আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। নিহত বাশারের বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যাসহ ২৭টি মামলা ছিল।