এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার সুপারিশ, ব্যবস্থা নেবে সরকার

প্রথম আলো ফাইল ছবি।
প্রথম আলো ফাইল ছবি।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ মঙ্গলাবার বিকেলে সচিবালয়ে পয়লা বৈশাখের নিরাপত্তা বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার সুপারিশ করেছে। এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন আজই কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেডিকেল বোর্ড গতকাল সোমবার জানিয়েছিল, খালেদা জিয়া অসুস্থ। তবে তা গুরুতর নয়। গত রোববার খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখে আসে চার সদস্যের ওই মেডিকেল বোর্ড।

চিকিৎসক দলের প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তাঁরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। খালেদা জিয়া ঘাড়ে, বাঁ হাতে ও পায়ে ব্যথা বোধ করেন। হাত ঝিমঝিম করে। তিনি আগে যেসব ওষুধ সেবন করতেন, তার সঙ্গে আরও কিছু ওষুধ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রক্ত ও এক্স-রে পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি তিনি অসুস্থ, তবে গুরুতর নয়।

বৈঠক শেষে পয়লা বৈশাখের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিষয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করতে হবে। আর রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে।

খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত রয়েছে। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশে এ কথা বলা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত আদেশ গতকাল সোমবার প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা যায়।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে। রায় ঘোষণার পরই সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়।