সিলেটে মা-ছেলে হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ১

মা ও ছেলে হত্যায় জড়িত সন্দেহে নাজমুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক নাজমুলকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত করা হয়। কোতোয়ালি থানা, সিলেট। ৪ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো
মা ও ছেলে হত্যায় জড়িত সন্দেহে নাজমুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক নাজমুলকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত করা হয়। কোতোয়ালি থানা, সিলেট। ৪ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের মীরাবাজারে মা ও ছেলে হত্যায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে সিলেট কোতোয়ালি থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

আটক ব্যক্তির নাম নাজমুল ইসলাম (৩২)। বাবার নাম মৃত আবদুল করিম। তিনি শহরের শাহপরান থানার মুক্তিরচর এলাকার বাসিন্দা। নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে নাজমুলের যাতায়াত ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

গত রোববার মীরাবাজারের খারপাড়া এলাকায় একটি বাড়ির নিচতলার বন্ধ কক্ষ থেকে রোকেয়া বেগম (৪০) ও তাঁর ছেলে রবিউল ইসলাম রুপনের (১৬) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘরের ভেতর থেকে রোকেয়ার পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

আজ সংবাদ সম্মেলনে সিলেট কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীর জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শাহপরান গেট থেকে নাজমুল ইসলামকে আটক করা হয়। নাজমুলের ছবি নিহত রোকেয়ার পাঁচ বছরের মেয়েকে দেখানো হলে সে জানায়, হত্যার সময় ‘নাজমুল মামা’ ছিল। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন নাজমুল। রোকেয়ার সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক’ ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, নাজমুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

আটক নাজমুলকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত করা হয়।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খারপাড়া এলাকায় ওই বাড়ির নিচতলায় ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকতেন রোকেয়া বেগম। তাঁর স্বামী হেলাল আহমেদ পক্ষাঘাতে আক্রান্ত, ভাইয়ের সঙ্গে নগরের বারুদখানা এলাকায় থাকেন।

নিহত রোকেয়া বেগমের ভাই জাকির হোসেন জানান, বোনের বাড়িতে এসে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। ধাক্কা দিলে ছোট্ট শিশুটি ভেতর থেকে জানায়, মা ও ভাইয়াকে মেরে ফেলেছে। এরপর তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা খুলে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, শোয়ার ঘরের বিছানায় রোকেয়ার লাশ পড়ে ছিল। গলায় গভীর ক্ষত ছিল। ছেলে রুপনের লাশ পাশের ঘরের বিছানার ওপর ছিল। রুপন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। পাঁচ বছরের শিশুটিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তাঁর গলায় আঙুলের ছাপ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার সময় শিশুটি কিছুক্ষণ জ্ঞানহীন অবস্থায় ছিল।