রোজায় দাম বাড়ার সুযোগ নেই: সংসদীয় কমিটি

যে পরিমাণ পণ্য মজুত আছে এবং আমদানি হচ্ছে, তাতে আগামী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ার সুযোগ নেই বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এরপরও দাম বাড়ানো হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ কথা বলা হয়।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে জানানো হয়েছে, রোজা উপলক্ষে টিসিবির পরিকল্পনা অনুয়ায়ী দুই হাজার টন চিনি, দেড় হাজার টন মসুর ডাল, ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫৭ লিটার ভোজ্যতেল, ১ হাজার ৯৫৫ টন ছোলা এবং ১০০ টন খেজুর কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা ছোলা ও মসুর ডাল শিগগিরই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। রোজা উপলক্ষে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে ১৮৭টি ট্রাকের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা আছে।

বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এবার রমজানে কোনো অবস্থাতেই দ্রব্যমূল্য বাড়তে দেওয়া হবে না। যে পরিমাণ পণ্য মজুত আছে এবং আমদানি হচ্ছে, তাতে দাম বাড়ার কোনো অবকাশ নেই। এবার রমজান সামনে রেখে ১০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে রডের দাম বাড়ার বিষয়টিও আলোচনায় আসে। বৈঠকে না থেকেও রডের দামের বিষয়টি আলোচনায় আনেন কমিটির সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন। তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানিয়ে কমিটির সভাপতিকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে রডের দাম বাড়ার প্রবণতা রোধ করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বৈঠকে আলোচনা করার আহ্বান জানান।

চিঠিতে বাহাউদ্দিন লিখেছেন, হঠাৎ করে রডের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক জায়গায় ঠিকাদারেরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনী বছরে মিল মালিকেরা সিন্ডিকেট করে উন্নয়ন সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন ব্যাহত করার পরিকল্পনা করছেন।

কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মিল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছে কমিটি। পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ছানোয়ার হোসেন, লায়লা আরজুমান বানু এবং মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান বৈঠকে অংশ নেন।