কুরিয়ার ও মোবাইলে সন্দেহজনক লেনদেন অনুসন্ধানে দুদক

সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ঘুষ লেনদেন, মুদ্রা পাচার, ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তিনটি কুরিয়ার কোম্পানির কাছে তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রদানকারী দুই প্রতিষ্ঠানের দুজন কর্মকর্তাকেও তলব করেছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক মাহমুদ হাসান কুরিয়ার কোম্পানি ও এমএফএস কোম্পানিকে চিঠি পাঠিয়েছেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা দুদকের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন।

এসএ পরিবহন, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ৯ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে। কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নাম, অর্থ লেনদেনের অনুমতিপত্র, টাকা স্থানান্তরের নীতিমালা, আর্থিক লেনদেনের সীমাসহ সব তথ্য ১২ এপ্রিলের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও রকেটের দুই কর্মকর্তাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আলাদা চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিকাশের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবীরকে ১২ এপ্রিল সকাল ১০টায় দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের এসএভিপি (হেড অব এফআইডি) সাইফুল আলম কবীরকে ১৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় দুদকে এসে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নীতিমালা মেনেই আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করি। এমএফএস সেবা ব্যবহার করে যে কোনো সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য আমরা নিয়মিতভাবেই নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে জানাই। এখন অনুসন্ধানের স্বার্থে দুদক যেসব তথ্য চাইবে আমরা তাদের জানাব।’

বিকাশের করপোরেট কমিউনিকেশনস বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, দুদকের কাছ থেকে তখন পর্যন্ত কোনো চিঠি তাঁরা পাননি। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিতভাবেই আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে তথ্য দিয়ে থাকি। দুদক চাইলেও তাদের সব তথ্য দেওয়া হবে।’