ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা

মহাসড়কে ট্রাকের কাগজপত্র দেখতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট শ্রমিকদের হামলার শিকার হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই সার্জেন্ট বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ট্রাকশ্রমিকদের অভিযোগ, সার্জেন্ট রবিউল ইসলাম গাড়ির কাগজপত্র দেখার নামে চাঁদাবাজি করছিলেন। তবে রবিউল বলছেন, ট্রাকের বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলে মামলা দিতে গেলে শ্রমিকেরা তাঁর ওপর হামলা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, একটি ট্রাক বিকেল পাঁচটার দিকে রাজশাহী নগরের আমচত্বর হয়ে বাইপাস সড়ক দিয়ে নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে ট্রাকটির গতি রোধ করে সার্জেন্ট রবিউল ইসলাম কাগজপত্র দেখতে চান। এ নিয়ে চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁর বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে সার্জেন্টকে পিটুনি দেন। পরে অন্য পুলিশ সদস্যরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।

স্থানীয় লোকজন আরও জানান, এরপর শ্রমিকেরা সার্জেন্ট রবিউল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় ২০ মিনিট রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

আহত পুলিশ সার্জেন্টকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গাড়ির (ছোট ট্রাক) কোনো কাগজপত্র ছিল না। তিনি মোটরসাইকেলের ওপরে বসে মামলা দেওয়ার জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করছিলেন। এ সময় শ্রমিকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। তিনি বলেন, এখানে চাঁদা চাওয়ার কোনো ঘটনাই নেই। তাঁরা তাঁদের ক্ষমতা দেখিয়েছেন।

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী অভিযোগ করেন, ‘রবিউল ইসলাম শুধু চাঁদাই নেন না, তিনি একজন বেয়াদবও। তিনি লোকজনের মুঠোফোনও কেড়ে নেন। ধাক্কা দিয়ে অপমান করেন। তাঁকে প্রত্যাহারের দাবিতে ২০ মিনিট সড়ক অবরোধ করেছি।’