চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে খুন

নিহত বিএনপি নেতা হেলাল উল ইসলামের স্ত্রীর আহাজারি । চুয়াডাঙ্গা, ৭ এপ্রিল। ছবি: শাহ আলম
নিহত বিএনপি নেতা হেলাল উল ইসলামের স্ত্রীর আহাজারি । চুয়াডাঙ্গা, ৭ এপ্রিল। ছবি: শাহ আলম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় হেলাল উল ইসলাম (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হেলাল উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। স্বজনদের দাবি, পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পথিমধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির ভাতিজা জুগিরহুদা গ্রামের কাইরুল ইসলাম জানান, গ্রামের হাসিবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে মানিকের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। সম্প্রতি মানিক ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হন। ওই ঘটনায় তিনি হেলালকে সন্দেহ করতেন। কারামুক্ত হওয়ার পর হেলালকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকবার হামলা চালান মানিক। আজ সকাল আটটার দিকে গ্রামের মাঠে ধানখেতে সেচ দিতে গেলে মানিক ও তাঁর বাবা হাসিবুল ইসলাম দুর্বৃত্তদের সঙ্গে নিয়ে হেলালকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করেন।

কাইরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, খবর পেয়ে হেলালের পরিবারের লোকজন গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে রক্তাক্ত হেলালকে উদ্ধার করতে গেলে মানিক ও তাঁর সঙ্গে থাকা দুর্বৃত্তরা বাধা দেয়। পরে পাশের গ্রাম রুদ্রনগর থেকে লোকজন এসে হেলালকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবীর জানান, হেলালকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু পৌঁছানোর আগেই মারা যান। আরএমও বলেন, হেলালের দুই পায়ের হাঁটুর নিচে এলোপাতাড়িভাবে কোপানো হয়েছে। রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ বলেন, নিহত হেলাল এবং হামলাকারীরা পরস্পরের আত্মীয়। নিহত ব্যক্তি মারা যাওয়ার আগে হামলাকারী হিসেবে মানিক ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের নাম বলে গেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।