ধমক দিয়ে ক্ষমতায় আছে আ.লীগ: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল। শতকরা পাঁচজন মানুষ তাদের ভোট দেননি। সরকার গায়ের জোরে, বন্দুকের জোরে, পিস্তলের জোরে, ধমক দিয়ে, জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।

বরিশাল নগরের বান্দরোডের হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে শনিবার জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্বৃতি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান যে সংগ্রাম বিএনপি করছে, সেটা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। এই সংগ্রাম জনগণের অধিকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। যে ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সেই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমাদের মনে রাখতে হবে। এই লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই। এই লড়াই স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের লড়াই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ নাকি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ নাকি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। উন্নয়ন কার? উন্নয়ন হচ্ছে আপনাদের (আওয়ামী লীগের)। ১০ টাকার চাল এখন ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আমাদের যে দুঃসময় চলছে, সেটা কাটিয়ে উঠতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ দেশে ন্যায়বিচার নেই। আইনের শাসন নেই। এখন শুধু একটাই শাসন, সেটা হচ্ছে বুলেটের শাসন। একটাই শাসন, সেটা হচ্ছে জুলুমের শাসন। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হবে। তা না হলে গোলাম হয়ে থাকতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ইলিয়াস আলীসহ অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ৭১ হাজার মামলা করেছে। ১৮ লাখ আসামি। আজ বরিশালেও ঘরে ঘরে পুলিশ নেতা-কর্মীদের তাড়া করছে। বিভিন্ন জেলায় পুলিশ তাড়া করে বেড়ায়। আজকের জনসভায় আসতে তারা বাধা দিয়েছে। আজ সময় এসেছে আমরা আমাদের ভাইয়ের রক্তের প্রতিশোধ নেবার। সে জন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’

বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের নেতা সেলিমা রহমান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, শাজাহান ওমর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চান, উত্তর বিএনপির সভাপতি মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ প্রমুখ।