ধর্ষণকারীদের বন্দুকযুদ্ধে হত্যার পক্ষে ফিরোজ রশীদ

ফিরোজ রশীদ
ফিরোজ রশীদ
>
  • মানুষ দেখতে চায় ধর্ষণকারীদের বিচার হবে কি হবে না 
  • ধর্ষণকারীদের বন্দুকযুদ্ধে নেওয়া‍ র‍্যাব সদস্যদের পুরস্কৃত চান

ধর্ষণকারীদের বন্দুকযুদ্ধে হত্যার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, প্রচলিত আইনে ফাঁসিতে গণধর্ষণ থামানো যাবে না। মানুষ তাৎক্ষণিক বিচার চায়। সে সঙ্গে তিনি ধর্ষণের ঘটনায় ‘সামারি ট্রায়ালের’ জন্য আইন করার দাবি জানান।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে কাজী ফিরোজ এসব কথা বলেন।

ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের প্রসঙ্গ টেনে কাজী ফিরোজ বলেন, ‘একজন পোশাকশ্রমিক বাসে উঠেছিলেন। পথে অন্যরা নেমে যাওয়ার পর তাঁকে পর্যায়ক্রমে বাসের পাঁচজন ধর্ষণ করেছে। তাঁর চিৎকারে এলাকার লোকজন পুলিশ আনিয়ে বাস আটক করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ঠিকই কিন্তু বিচার হবে না।’

ফিরোজ বলেন, ‘নয় বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে পালিয়ে গিয়েছিল, সেই ধর্ষণকারীর সঙ্গে র‍্যাবের বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। র‍্যাবের দুজন আহত হয়েছে। ধর্ষক নিহত হয়েছে। এটাই জনগণ দেখতে চায়। এই র‍্যাব সদস্যদের পুরস্কৃত করা উচিত। প্রতিদিনই বাসে ধর্ষণ হবে আর আইনের আশ্রয় নেবেন? এভাবে চলতে পারে না। মানুষ দেখতে চায়, এই মুহূর্তে বিচার হবে কি হবে না।’

বিরোধী দলের এই সদস্য মনে করেন, টাঙ্গাইলে রূপা হত্যার ঘটনায় একটি জ্বলন্ত নিদর্শন দেওয়া গেলে আরেকটি মেয়েকে ধর্ষণের শিকার হতে হতো না। তিনি বলেন, রূপা হত্যা মামলায় আসামিদের নিম্ন আদালতে ফাঁসি হয়েছে। উচ্চ আদালতে তাঁরা আইনের আশ্রয় নেবেন। সেখানে ল পয়েন্টে আলোচনা হবে—ফাঁসি হবে কি হবে না। তারপর সর্বোচ্চ আদালত রয়েছে। তারপর রাষ্ট্রপতি আছেন। কবে কোন জেলে কোন শেষ রাতে ফাঁসি হবে, তার খবর কেউ রাখবে না। রূপা চলে যাবে।

সরকারের উদ্দেশে কাজী ফিরোজ বলেন, ‘রূপা হত্যা মামলার বিচারের রায় কবে হবে কেউ জানে না। জঙ্গি দমন করছেন কীভাবে? শিশু জঙ্গি, নারী জঙ্গি, কিশোর জঙ্গি, বয়স্ক জঙ্গি—সব জঙ্গিকে বন্দুকযুদ্ধে দমন করা হয়েছে। আইনের আশ্রয়ে কি জঙ্গিকে আনছেন? আজ পর্যন্ত কি বিচার হয়েছে?’ কাজী ফিরোজ বলেন, বন্দুকযুদ্ধ না হলে জঙ্গি দমন করা যেত না।

প্রচলিত আইনে বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কথা উল্লেখ করে কাজী ফিরোজ বলেন, ‘একটার পর একটা মেয়ে বাসে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আপনি কি বলবেন দেশে আইনের শাসন আছে? এটা আইনের শাসন নয়, আইনের অপশাসন। আইনের শাসন করতে করতে ১০ বছর লাগাবেন। ১০ বছর পর যদি ফাঁসিও হয়, তা কেউ জানবেও না। অনেকে আইনের ফাঁকফোকরে বেরিয়েও যাবে।’

বিরোধী দলের এই সদস্য আইন সংশোধন করে এক মাসের মধ্যে সামারি ট্রায়ালের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

কাজী ফিরোজ বলেন, রসু খাঁ ১৬ জন নারীকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন। দু-তিনটি মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে, আরও মামলা চলমান আছে। এই মামলায় ১০ বছর পরে কোন জেলে শেষরাতে তাঁর ফাঁসি হবে, কেউ খবর রাখবে না। এই ফাঁসিতে গণধর্ষণ থামানো যাবে না।