তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাইবোনসহ চারজন নিহত

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় রাস্তা পার হওয়ার সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বাসের ধাক্কায় পাঁচ বছরের এক শিশু ও তার বড় বোন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া গত দুই দিনে বগুড়ার ধুনট ও দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন আরও দুজন। ঢাকার বাইরে থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কের বেলকুচি উপজেলার কদমতলীতে বড় বোন বন্যা খাতুনের সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের চাপায় মামুন খন্দকার (৫) নামের শিশুটি মারা যায়। আহত হন বন্যা খাতুন। তারা উপজেলার কদমতলী গ্রামের আবুল খায়ের খন্দকারের সন্তান।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই প্রথম আলোকে জানান, গতকাল বেলা তিনটার দিকে সিরাজগঞ্জ থেকে এনায়েতপুরগামী জিম এন্টারপ্রাইজের একটি বাস শিশুটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বেলকুচি থানায় মামলা হয়েছে।
ধুনট (বগুড়া): বুধবার বিকেল চারটার দিকে আবু সাইদ খান (৪৫) নামের এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ধুনট উপজেলার কালেরপড়া গ্রামের রাস্তায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে আবু সাইদ খানের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিনি মারা যান। আবু সাইদ ধুনটের মাটিকোড়া গ্রামের কলিম উদ্দিন খানের ছেলে। তিনি ধুনট বাজারে ফার্নিচার ব্যবসায়ী।
দিনাজপুর: বুধবার সকাল ১০টার দিকে বীরগঞ্জ-গোলাপগঞ্জ সড়ক দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে মো. হেলাল (৩৫) নামের এক ব্যক্তি উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের বোচাপুকুর নামক স্থানে ট্রাক্টরের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের সাতখামার গ্রামের দারোগ আলীর ছেলে।
মরিচা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরমান হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।