ঋণখেলাপিদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করা যেতে পারে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথম আলো ফাইল ছবি
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথম আলো ফাইল ছবি

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সময়-সময় ঋণখেলাপিদের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যেতে পারে। ভবিষ্যতে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রুস্তম আলী তাঁর প্রশ্নে ঋণখেলাপিদের নাম-ঠিকানা আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, জানতে চান।

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণখেলাপিদের তালিকা কয়েক দফায় জাতীয় সংসদে প্রকাশ করা হয়েছে। সংসদ সদস্যরা ঋণখেলাপিদের তালিকা দেখতে চেয়েছেন, সেভাবে কয়েকবার ঋণখেলাপিদের নাম প্রকাশ কর হয়েছে। তবে, তাঁদের নাম-ঠিকানা পত্রিকায় প্রচার করার চিন্তা কখনো করা হয়নি। তবে নিশ্চয়ই এটা করা যায়। এ প্রস্তাবটি বিবেচনার উপযুক্ত। ভবিষ্যতে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে। সময়-সময় তাঁদের নাম প্রকাশ করা যেতে পারে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ঋণখেলাপি, তাঁরা জাতির ভয়ংকর ক্ষতি করছেন। যে টাকাটা অন্য খানে বিনিয়োগ করা যেত, তাঁরা না নিয়ে গুম করে দেন।
সংরক্ষিত আসনের সাংসদ হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে জাতিসংঘের প্রদেয় বিভিন্ন চাঁদা বাংলাদেশের হার ২০২৭ সালের পর পর্যায়ক্রমে বাড়বে। এ ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের জন্য জাতিসংঘের এলডিসি ফান্ড থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য গ্রিন এনভায়রনমেন্ট ফান্ড (জিইএফ) কর্তৃক দেয় সুবিধার পরিমাণ হ্রাস পাবে।