স্ত্রী-কন্যার সামনে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়ায় স্ত্রী এবং চার বছরের কন্যা সন্তানের সামনে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তাঁকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি।

নিহত ব্যক্তির নাম লালন হোসেন (৩০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি নারকেল গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী হাশেম আলীর সঙ্গে প্রায় ছয় মাস ধরে লালনের বিরোধ চলে আসছিল। উভয় পক্ষ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ করেছে। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাতে সালিস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সালিসের আগেই এই ঘটনা ঘটল।

নিহত লালনের স্ত্রী বেলী খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, এলাকার আব্দুর রবের ছেলে আল আমিন সালিসের কথা বলে তাঁর স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তিনিও সন্তান নিয়ে স্বামীর পেছন পেছন বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি থেকে কয়েক গজ দূরে গেলে প্রতিবেশী জুয়েল, হাশেম আলী ও তাঁর ছেলে মিন্টু ও টিপুসহ কয়েক জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর স্বামীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, হামলাকারীদের হাতে পায়ে ধরার পরও স্বামীকে বাঁচানো যায়নি। চার বছর বয়সী মেয়ে লাবনীর সামনেই তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে।

স্থানীয় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেফালি খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, একটি নারকেল গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ছয় মাস ধরে দুটি পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে পৌরসভায় লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে সালিস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সালিসের আগেই প্রতিপক্ষের হাতে খুন হলেন লালন।

ওই ঘটনার পর পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লালন হোসেনের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা দলীয় কর্মী লালন হোসেনের খুনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি লালনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।