মোটরসাইকেলে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই বন্ধুর

মোটরসাইকেল নিয়ে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল দুই বন্ধু। নতুন ওই রেললাইনে রেলক্রসিং তৈরি হলেও এখনো লোক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ এক ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় এক কিশোর। হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যায় অপরজন। 


আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া পোড়াদহ জংশনের কাছে চিথলিয়া রেল সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই কিশোর হলো আয়াতুল্লাহ (১৫) ও মুবিন আল মাহমুদ (১৫)। আয়াতুল্লাহ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আইলচারা গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার সাইদুল ইসলামের ছেলে এবং মুবিন একই গ্রামের হাটপাড়ার সাইদুল হকের ছেলে। তাঁরা স্থানীয় বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত এবং একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল।

দুপুর ১২টার দিকে গোয়ালন্দ থেকে ছেড়ে আসা শাটল ট্রেনের একটি ইঞ্জিন তাঁর দিক পরিবর্তনের জন্য চিথলিয়া রেলক্রসিংয়ের কাছে যায়। ঠিক সে সময়ই মোটরসাইকেলে করে দ্রুত রেলক্রসিং পার হচ্ছিল দুই কিশোর। ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় মুহূর্তেই মোটরসাইকেলটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আয়াতুল্লাহ মারা যায়।

পোড়াদহ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবজাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আয়াতুল্লাহ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আয়াতুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে জিআরপি থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

পোড়াদহ স্টেশনের মাস্টার শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, চিথলিয়া এলাকায় একটি নতুন রেললাইন করা হয়েছে। সেখানে সড়কপথও রয়েছে। এটা অনুমোদিত রেলক্রসিং। তবে এখনো কোনো লোক নিয়োগ হয়নি। তিনি আরও বলেন, দুপুর ১২টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন ছেলে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় গোয়ালন্দ থেকে ছেড়ে আসা শাটল ট্রেনের একটি ইঞ্জিন তার দিক পরিবর্তনের জন্য চিথলিয়া রেলক্রসিংয়ের কাছে যায়। মোটরসাইকেলটি দ্রুত পার হতে গেলে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই আয়াতুল্লাহ মারা যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় মুবিন।