একটি বছর হারিয়ে যেতে বসেছে এহসান রফিকের

এহসান রফিক
এহসান রফিক

• ৬ ফেব্রুয়ারি নির্যাতনের শিকার হন এহসান
• এহসান লেখাপড়া করতে পারছেন না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের শিক্ষার্থী এহসান রফিককে চিকিৎসার জন্য আবারও ভারতে নিতে হচ্ছে। চোখের চিকিৎসার পর এবার মাথায় যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়ায় ২২ এপ্রিল তাঁকে সেখানে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

এহসান রফিকের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে ছেলে লেখাপড়া করতে পারছে না। ওর শিক্ষাজীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যেতে বসেছে বলে মনে হচ্ছে।’

গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে এসএম হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের শিকার হন এহসান। রাত দুইটা থেকে পরদিন বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এহসানকে তিন দফা পেটানো হয়। এতে তাঁর কপাল ও নাক ফেটে রক্ত বের হয়। ওই রাতে ছাত্রলীগের হল শাখার সভাপতি তাহসান আহমেদের কক্ষে তাঁকে আটকে রাখা হয়। পরে ঢাকার একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর ৪ মার্চ ভারতের শংকর নেত্রালয়ে তাঁর চোখে একদফা অস্ত্রোপচার হয়।

এহসান রফিকের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামে।

নির্যাতনে ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে।

গতকাল সোমবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বাজারে এহসানের বাবা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছিল। প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনার পর থেকে ছেলে পড়ালেখা করতে পারছে না। ঘটনার পরই তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়। এরপর বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর তাঁর চোখের সমস্যা আরও বাড়ে। এ অবস্থায় ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। চোখের অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা তাঁকে ছয় মাসের বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। যে কারণে সে আর লেখাপড়া করতে পারছে না। জীবন থেকে একটি শিক্ষাবর্ষ হারিয়ে যেতে বসায় মনঃকষ্টের মধ্যে আছেন এহসান।

রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা ও ভারতে যাওয়া-আসা ও চিকিৎসার পুরো ব্যয় তাঁকে বহন করতে হচ্ছে। এটা তাঁর জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।