রাজীবের পর এবার বিচ্ছিন্ন হলো হৃদয়ের হাত

মঙ্গলবার সড়ক দুর্ঘটনায় হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালিদ হাসান হৃদয়। ছবি: প্রথম আলো
মঙ্গলবার সড়ক দুর্ঘটনায় হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালিদ হাসান হৃদয়। ছবি: প্রথম আলো

৩ এপ্রিল দুই বাসের রেষারেষির মধ্যে পড়ে ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেনের (২১) হাত কাটা পড়ে। ১৩ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানেন তিনি। গত সোমবার দিবাগত রাতে রাজীব না–ফেরার দেশে চলে যান।

রাজীবের এভাবে চলা যাওয়া মানতে পারছেন না কেউই। এই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতে গোপালগঞ্জে বাসের পাশ ঘেঁষে একটি ট্রাক যাওয়ার সময় হাত হারান খালিদ হাসান হৃদয় (২০) নামের এক তরুণ। হৃদয়ের শরীর থেকে হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়ে সড়কে পড়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ সদরের পাশে বেতগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আহত হৃদয়ের পরিবার জানায়, ওই ঘটনার পর গুরুতর আহত হৃদয়কে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। হৃদয় টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের পরিবহনশ্রমিক। তাঁর বাবার নাম রবিউল ইসলাম এবং মা শাহিদা বেগম। তাঁদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের পুলিশ লাইন এলাকায়।

এক হাত হারিয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিক খালিদ হাসান হৃদয়। ছবি: প্রথম আলো
এক হাত হারিয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিক খালিদ হাসান হৃদয়। ছবি: প্রথম আলো

আহত হৃদয়ের ফুপাতো ভাই নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজ টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহনের বাসে কাজ শেষে হৃদয় একটি বাসে করে গোপালগঞ্জে যাচ্ছিলেন। বাসে উঠে জানালার পাশে বসেন হৃদয়। তাঁর হাত জানালার পাশে ছিল। গোপালগঞ্জের বেতগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিপরীত থেকে আসা একটি ট্রাক ওই বাসকে ঘেঁষে যাওয়ার সময় হৃদয়ের ডান হাত কাটা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হৃদয়কে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে খালিদ হাসান হৃদয়কে হাসপাতালে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক চিকিৎসক ড. মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, হৃদয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।