যক্ষ্মা ও ডায়রিয়া নিয়ে নতুন গবেষণা শুরু

যক্ষ্মা ও ডায়রিয়া রোগের বিস্তার প্রতিরোধে দেশে অধিকতর গবেষণা শুরু হতে যাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এ কথা জানানো হয়।

রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআরবির সাসাকাওয়া মিলনায়তনে কর্মশালার আয়োজন হয় বেলা ১১টায়। কর্মশালায় জানানো হয়, ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসিডিডিআরবি আগামী তিন বছর যৌথভাবে এই গবেষণা পরিচালনা করবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রধান গবেষক এস এম লুৎফুল কবির উল্লিখিত রোগ বিষয়ে গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে নতুন গবেষণা শুরুর কথা জানান।

লুৎফুল কবির বলেন, দেশে ২৬ মিলিয়ন গরু, ১৭ মিলিয়ন ছাগল ও ভেড়া এবং ১৩৫ মিলিয়ন পোলট্রি পালন হচ্ছে। এসব পশুপাখির জন্য মারাত্মক রোগ যক্ষ্মা ও ডায়রিয়া। এত সংখ্যক প্রাণীর মাধ্যমে রোগজীবাণু মানবদেহেও ছড়াতে পারে। তাই মানবস্বাস্থ্য রক্ষায় এসব প্রাণিস্বাস্থ্যে বিশেষ নজর দিতে হবে। রোগাক্রান্ত মানুষ ও পশুপাখি রোগ প্রতিরোধে দেশ ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত বেশ কিছু জেলায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ, মানুষ ও পশুপাখির রোগের ধরন, জীবাণু এবং প্রতিরোধের বিষয়ে গবেষণা করা হবে। এ গবেষণার আওতায় দুজন পিএইচডি এবং বেশ কিছু মাস্টার্স শিক্ষার্থী তাঁদের ডিগ্রি অর্জন করবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জসিমউদ্দিন খান বলেন, ‘মানুষ থেকে প্রাণী এবং প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায়—এ রকম বেশ কিছু রোগের মধ্যে যক্ষ্মা ও ব্যাকটেরিয়াজনিত ডায়রিয়া খুবই ভয়াবহ। রোগ দুটি নিয়ে গবেষণা এবং মানুষ ও খামারিদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা আশা করব, সঠিক ও প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে গবেষকেরা এ রোগগুলোর প্রাদুর্ভাব কমিয়ে এনে মানুষ ও প্রাণিস্বাস্থ্য রক্ষা করে দেশকে আর্থিক ক্ষতি থেকে সুরক্ষা করবেন।

আইসিডিডিআরবির মুখ্য পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ঢাকার ফার্মগেটের কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ওয়াইস কবির এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. রেজাউল ইসলাম ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দাকার উপস্থিত ছিলেন।