রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে ৫ জন, সাত লাখ টাকা লুট

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচেতন শহিদুল হক। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচেতন শহিদুল হক। ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীতে পৃথক চারটি ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার শালা-দুলাভাইসহ পাঁচজন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। অচেতন অবস্থায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়।

এই পাঁচজন হলেন শাহ আলম (৩২) ও তাঁর বোনের স্বামী মজনু মিয়া ( ৪০), সুমন (৩০), শহিদুল হক (৫৫) ও কামাল হোসেন। এঁদের মধ্যে শাহ আলম ও মজনু মিয়ার কাছ থেকে চার লাখ টাকা ও শহিদুল হকের কাছে থেকে তিন লাখ টাকা খোয়া গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শাহ আলম ও মজনু মিয়ার পরিচিত মফিজুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়িক সূত্রে তাঁদের মধ্যে পরিচয়। আজ সকালে উত্তরার ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে চার লাখ টাকা উঠিয়ে ‘সুপ্রভাত’ বাসে করে যাচ্ছিলেন শাহ আলম ও মজনু মিয়া। পরে গুলিস্তানে এসে ওই বাসে তাঁদের অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মফিজুল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচেতন সুমন। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচেতন সুমন। ছবি: প্রথম আলো

সুমনের এক সহকর্মী আনোয়ার জানান, সুমন সেনাকল্যাণ ভবনে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি আইন পরীক্ষা দেবেন বলে কাকরাইলে ফরম কিনতে গিয়েছিলেন। পরে কাকরাইল মসজিদের সামনে অচেতন অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে আনোয়ার তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

শহিদুল হক মহাখালীর দাদা মেটাল প্রসেসের বিপণন কর্মকর্তা। ঢাকা মেটালের প্রসেসের মালিকের ছেলে শ্যামল জানান, গুলশানে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড থেকে তিন লাখ টাকা উঠিয়ে মহাখালী অফিসে আসছিলেন শহিদুল। পরে মহাখালী বন অধিদপ্তরের কাছে একটি হোটেলের সামনে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর তিন লাখ টাকা খোয়া গেছে।

অপর আরেক ঘটনায় কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন রেলওয়ে পুলিশের কনস্টেবল আলী হাসান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অচেতন ব্যক্তিদের পাকস্থলী পরিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই এখন মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া।