আনু মুহাম্মদ বললেন, সরকার চাইলে লালও সবুজ হয়ে যায়

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবনবিনাশী সব প্রকল্প বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা। ছবি: প্রথম আলো
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবনবিনাশী সব প্রকল্প বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা। ছবি: প্রথম আলো

তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সরকার চাইলে লাল চিহ্নিত কারখানা রাতারাতি সবুজ হয়ে যায়। বিষাক্ত কারখানা পরিবেশবান্ধব হয়ে যায়। সরকারের কলমের খোঁচায় সব সম্ভব।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবনবিনাশী সব প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঢাকা মহানগর। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় কমিটি।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার চায় না সুন্দরবন থাকুক। সরকার একের পর এক সুন্দরবন ধ্বংসকারী প্রকল্প নিচ্ছে। আইন পরিবর্তন করে বিষাক্ত প্রকল্পকে পরিবেশবান্ধব করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে সুন্দরবন ধ্বংস হলে কয়েক হাজার হেক্টর জমি পাওয়া যাবে। ভূমিদস্যুরা তা দখলে নিতে পারবে। সরকার বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় একটি গেজেটে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের (১৯৯৭) তফসিল পরিবর্তন করে। এর মাধ্যমে পরিবেশদূষণকারী ও দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত ছয় ধরনের শিল্পকে সবুজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগে লাল চিহ্নিত শিল্পকে পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষাসহ (ইআইএ) আট ধরনের শর্ত পূরণ করে কারখানা নির্মাণের অনুমতি পেত। সবুজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় কোনো ধরনের ইআইএ করতে হবে না।

সমাবেশে তেল-গ্যাস বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা বলে তহবিল আনা হচ্ছে। যে টাকা দিয়ে প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশের সুরক্ষা দেওয়ার কথা, সেই টাকা হুমকিস্বরূপ বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে বহু ব্যক্তি নিজেদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করছেন।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।