লোহাগড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন এক যুবক। তাঁকে তিন দফা কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

আজ শনিবার সকালে উপজেলার পারমল্লিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ওই সময় পুলিশের গুলিতে পাঁচজনসহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এর মধ্যে এক তরুণ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত যুবকের নাম খায়ের মৃধা (৩৫)। তিনি পারমল্লিকপুর গ্রামের মকিম মৃধার ছেলে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য উজ্জ্বল ঠাকুর ও হেমায়েত হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। নিহত যুবক উজ্জ্বল ঠাকুরের সমর্থক। আজ সকাল ছয়টার দিকে গ্রামের ভ্যানস্ট্যান্ডে চায়ের দোকানে চা খেতে এলে হেমায়েত হোসেনের সমর্থক আকরাম সরদার ও লিটুকে মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এরপর হেমায়েত হোসেনের সমর্থকেরা প্রতিপক্ষের খায়ের মৃধাকে তিন দফায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত খায়ের মৃধাকে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, খায়ের মৃধাকে কোপানোর পর সকাল সাতটার দিকে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময়ে পুলিশ গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে খায়ের মৃধার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা শুরু করে উজ্জ্বল ঠাকুরের সমর্থকেরা। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে পাঁচজন আহত হন। এর মধ্যে সজীব শেখের (২০) অবস্থা গুরুতর। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে গুলি ছোড়ে। তবে পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হননি বলে দাবি করেন তিনি। ওসি বলেন, কীভাবে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।