জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা চাইল চোর

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

‘হ্যালো, কে বলছেন?’

‘আমি ভাই।’

‘তা আমিটা কে?’

‘ভাই, আমি আমিই।’

‘তা চালকলের বৈদ্যুতিক মিটারটি কোথায়?’

‘ভাই, আগেই তো বলছি, মিটার দিব। চালকলের মালিককে তো ১০ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলছিলাম। তিনি তো টাকা দেন নাই। টাকা না দিলে মিটার দিব না। মিটার খুলতে খুব কষ্ট হয়েছে, তাই মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে।’

বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নিয়ে যাওয়ার পর চোরেরা কাগজের টুকরায় একটি মুঠোফোন নম্বর দিয়ে যায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি এসব কথা বলেন। পুলিশে খবর দিয়ে তাঁকে ধরা যাবে না বলেও লোকটি জানিয়ে দেন।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের পশ্চিম হাস্তাবসন্তপুর মহল্লায় গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি গভীর নলকূপ ও একটি চালকলের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। পরদিন সকালে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটারটি মাঠের একটি মুরগির খামারের পাশে পাওয়া যায়। কিন্তু চালকলের মিটারটি পাওয়া যায়নি। মিটার খোয়া যাওয়া ওই চালকলের মালিক মাহমুদুল আহসান। তিনি বলেন, তিনিও মুঠোফোনে ‘চোরের’ সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। ওই টাকা বিকাশ করলে মিটারটি ফেরত পাঠানো হবে বলে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়। তা ছাড়া তাঁকে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত না করার জন্যও সতর্ক করা হয়। মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে তাঁদের ধরা যাবে না বলেও মুঠোফোনের অপর প্রান্তের লোকটি বলেন। কারণ, এই সিম কার্ডের রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি।

গভীর নলকূপের ড্রেনম্যান মিজান হোসেন ওই মুঠোফোনে কথা বলেন। একপর্যায়ে তাঁকে আট হাজার টাকা পাঠানোর কথা বলা হয়। কিন্তু মিটার ফেরত পেতে তিনি ওই টাকা পাঠাননি। পরে মিটারটি খুঁজে পান।

 শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা বলার সময় আক্কেলপুর থানার পরির্দশক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম সামনেই ছিলেন। তখন ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, মিষ্টি খাওয়ার জন্য অন্তত তিন-চার হাজার টাকা দেন। তাহলেই মিটার মিলবে। না হলে মিলবে না।’